দুই মেইতেই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারে আবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা মণিপুরে। ছবি: পিটিআই।
মণিপুরের পাহাড়ি জঙ্গল থেকে দুই মেইতেই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জঙ্গলে দু’জনের দেহ পড়ে রয়েছে, এমন একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। দুই পড়ুয়ার সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই পরিস্থিতির আবার উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন। যদিও দুই পড়ুয়ার হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি এবং আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন বছর সতেরোর ছাত্রী হিজাম লিনথোয়িংগাম্বি এবং বছর কুড়ির ফিজাম হেমজিত। তাঁদের দু’টি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে জঙ্গলের একটি ফাঁকা জায়গায় বসে রয়েছে তারা। দুই পড়ুয়ার ঠিক পিছনে দু’জন সশস্ত্র ব্যক্তিকেও দেখা যাচ্ছে। আর দ্বিতীয় যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে জঙ্গলে দুই পড়ুয়ার দেহ পড়ে রয়েছে। দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, জুলাই থেকে নিখোঁজ দুই পড়ুয়ার ছবি সরকারের কাছে এসেও পৌঁছেছে। এই অপহরণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশকে। যৌথ ভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবে তারা। অপহরণ এবং হত্যার নেপথ্যে কাদের হাত রয়েছে, সেই সব অভিযুক্তকে খুঁজে বার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারের তরফে রাজ্যবাসীদের কাছে আবেদন করা হয়েছে, তাঁরা যেন আইন নিজেদের হাতে তুলে না নেন এবং এই ঘটনায় আসল দোষীদের খুঁজে বার করতে তদন্তকারী দলকে সাহায্য করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুই পড়ুয়াকে শেষ দেখা গিয়েছিল বিষ্ণুপুর জেলায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা দুই পড়ুয়াকে বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুর জেলার সীমানা থেকে অপহরণ করেছিল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। সরকার এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিখোঁজ হওয়ার পর দু’মাসেরও বেশি সময় কেটে গেলেও পড়ুয়াদের উদ্ধার কেন করা যায়নি, তা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন মেইতেইরা।