মান জানিয়েছেন, অমৃতপালের গ্রেফতারির আগের রাতটা না ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন তিনি। ফাইল চিত্র
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান জানিয়ে দিলেন, নিজের রাজ্যে কোনওরকম হিংসা বরদাস্ত করবেন না তিনি। রবিবারই পঞ্জাবের খলিস্তানি নেতা তথা মৌলবাদী মতাদর্শের প্রচারক অমৃতপাল সিংহকে নাটকীয় ভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ফেরার অমৃতপালকে কোনঠাসা করে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে পঞ্জাবের পুলিশ বাহিনী। তার পরেই একটি ভিডিয়ো বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মান জানান, যাঁরাই পঞ্জাবের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তাদের কঠিন শাস্তি পেতে হবে। কাউকে রেয়াত করবে না পঞ্জাব সরকার!
মান জানিয়েছেন, অমৃতপালের গ্রেফতারির আগের রাতটা না ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন তিনি। খলিস্তানি নেতা অমৃতপালকে যখন ধীরে ধীরে কোনঠাসা করছিল পুলিশ, তখন সেই অভিযানের প্রতি মুহূর্তের খবর নিচ্ছিলেন এবং প্রয়োজনীয় সাহায্যও করছিলেন। তবে রবিবারের ওই ভিডিয়োতে অমৃতপালের গ্রেফতারির জন্য রাজ্যের সাধারণ মানুষকেই ধন্যবাদ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মান। জানিয়েছেন, তাঁদের সাহায্য ছাড়া এ কাজ সম্ভব হত না। অমৃতপাল রাজ্যের তরুণদের বিপথে চালিত করছিলেন। পঞ্জাবের মাটি থেকে দেশের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর কাজ করছিল। মুখ্যমন্ত্রী মান এ প্রসঙ্গে তাঁর ভিডিয়ো বার্তায় বেশ জোর দিয়েই বলেছেন, ‘‘পঞ্জাবের মাটি উর্বর ঠিকই। কিন্তু এখানে হিংসা বীজ পুঁতলে কোনও লাভ হবে না। পঞ্জাবের জমিতে সেই বীজে গাছ হবে না। ফসল ধরার সুযোগই দেওয়া হবে না।’’
খলিস্তানি জঙ্গি অমৃতপাল গত ১৮ মার্চ থেকে ফেরার। ‘ওয়ারিশ পঞ্জাব দে’ সংগঠনের নেতা অমৃতপাল ওই দিন তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে হামলা চালান অমৃতসরের কাছে অঞ্জলা থানার লকআপে। সেখান থেকে নিজের সঙ্গীদের উদ্ধার করতেই শ’খানেক অনুগামীকে নিয়ে চড়াও হন খলিস্তানি নেতা। তার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না তাঁর। পুলিশও অমৃতপালকে খুঁজে বের করার চেষ্টায় কসুর করেনি কোনও। অবশেষে শনিবার রাতে পঞ্জাবের মোগা থেকে গ্রেফতার করা হয় অমৃতপালকে। রবিবার তার পরেই ভিডিয়ো বার্তায় মান বলেছেন, ‘‘পঞ্জাবের মানুষ আম আদমি পার্টির উপর ভরসা করে রাজ্যের শাসনভার তুলে দিয়েছে। আমরা চাই পঞ্জাবের তরুণ প্রজন্মের হাতে ডিগ্রি থাকুক অস্ত্র নয়।’’