—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উপহার হিসাবে চকোলেট পেয়েছিল ছোট্ট শিশু। সেই চকোলেট মুখে দিতেই বিপত্তি। গল গল করে রক্তবমি করতে শুরু করে ওই শিশু। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাটি পঞ্জাবের। অসুস্থ শিশুটি লুধিয়ানার বাসিন্দা। পটিয়ালায় সে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিল। শিশুটির পরিবার জানিয়েছে, ওই আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে শিশুটিকে উপহার হিসাবের একটি খাবারের বাক্স দেওয়া হয়। তাতে একাধিক মুখরোচক খাবার ছিল। চকোলেট যার মধ্যে অন্যতম।
উপহার মহানন্দে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল শিশুটি। চকোলেটটিই তার সবচেয়ে পছন্দ হয়েছিল। তাই প্রথমে সেটিই খেয়ে ফেলে। এর পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। তার পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, চকোলেট খাওয়ার পরেই রক্তবমি শুরু করে ওই শিশু। বমি কিছুতেই থামতে চাইছিল না। অবিলম্বে তাকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন তার বাবা, মা।
হাসপাতালে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা জানান, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া চকোলেট খেয়েই তার এই দশা হয়েছে। শিশুর পরিবার এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ জানানো হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরেও। শুরু হয়েছে তদন্ত।
প্রথমে শিশুটিকে যে বাড়ি থেকে চকোলেট দেওয়া হয়েছিল, সেখানে পৌঁছন তদন্তকারীরা। তাঁরা যেখান থেকে চকোলেট কিনেছিলেন, সেখানে যায় পুলিশ। দেখা যায়, ওই দোকানেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া চকোলেট বিক্রি করা হচ্ছিল। দোকানটি থেকে আরও কিছু মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার এবং চকোলেট উদ্ধার করে পুলিশ। সেগুলি সবই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এর আগে মার্চ মাসে এমনই মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার খেয়ে ১০ বছরের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনাটিও ছিল পঞ্জাবে পটিয়ালার। তদন্তে দেখা গিয়েছিল, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া পচা কেক বিক্রি করছিলেন দোকানদার। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে কিশোরীর মৃত্যু হয়।