পঞ্জাবে বিধানসভা ভোটের আগেই ‘আমজনতার মতামত নিয়ে’ সঙ্গরুরের দু’বারের সাংসদ মানকে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ ঘোষণা করেছিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল। দ্বিতীয় বার বিধানসভা ভোটে লড়তে নেমে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে চণ্ডীগড়ের কুর্সি দখল করেছে আপ।
জয়ের পর জনতার দরবারে মান। ছবি: সংগৃহীত।
পঞ্জাবের কোনও সরকারি দফতরে আর মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ঝোলানো হবে না। বৃহস্পতিবার ভোটগণনার প্রবণতা স্পষ্ট হতেই জনতার মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানিয়ে দিলেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা তথা সে রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্জাবের সরকারি দফতরে এ বার থেকে শুধু বাবাসাহেব অম্বেডকর এবং শহিদ ভগৎ সিংহের ছবি থাকবে।’’
পঞ্জাবে বিধানসভা ভোটের আগেই ‘আমজনতার মতামত নিয়ে’ সঙ্গরুরের দু’বারের সাংসদ মানকে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ ঘোষণা করেছিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল। দ্বিতীয় বার বিধানসভা ভোটে লড়তে নেমে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পঞ্জাবের কুর্সি দখল করেছে আপ। পঞ্জাবের জনতাকে অভিনন্দন জানিয়ে মান বলেন, ‘‘পঞ্জাবের জনতা যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা সততার সঙ্গে পালন করব।’’
দলনেতা কেজরীবালের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই পঞ্জাবের উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করা হবে বলে জানান মান। আপ প্রধান কেজরীবাল বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের বিপুল জয়কে ‘আমজনতার বিপ্লব’ বলেছেন। প্রসঙ্গত, পঞ্জাবের ধুরি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এ বার ৬৪ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মান। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ২০ শতাংশেরও কম ভোট।