ফসলের গোড়া তোলার যন্ত্র পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের চাষিদের দ্রুত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকার বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ চাষের জমিতে থাকা ফসলের গোড়া পোড়ানো বলেই জানাচ্ছেন পরিবেশবিদেরা। তা রুখতে পঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নজিরবিহীন ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন দুই রাজ্যের মুখ্যসচিব। আদালতের নির্দেশ, আগামী সাত দিনের মধ্যে সমস্ত ফসলের গোড়া কৃষকদের কাছ থেকে কিনে নিতে হবে রাজ্যগুলিকে। এর জন্য যত টাকা প্রয়োজন তা জোগাড় করতে হবে রাজ্যকে। ব্যর্থ হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে মুখ্যসচিবদের।
আজ সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি দীপক গুপ্তের বেঞ্চ দূষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে পঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে। আদালত আজ দু’রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চায় যে, ‘‘আপনারা কি এ ভাবে মানুষকে মরতে দিতে পারেন?’’ আদালতের প্রশ্ন, ‘‘কেন সরকার বারবার ফসলের গোড়া পোড়ানো রুখতে ব্যর্থ হচ্ছে?’’
কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানান, ফসলের গোড়া নষ্ট করা নিষিদ্ধ হলে কৃষিকাজ ধাক্কা খাবে। কেন এ নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই জানতে চেয়ে কেন্দ্রকে এক হাত নেয় আদালত।
আরও পড়ুন: এই এক মাস কথা নয়, বলছে সাপুরের শিবির
অন্য দিকে পঞ্জাব সরকার জানায়, ফসলের গোড়া তুলে ফেলার জন্য ১৮ হাজার যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু ওই কাজে কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া যায়নি। যা শুনে আদালত পঞ্জাবের মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চায়, সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে কেন আরও আগে থেকে যন্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। বিচারপতিরা বলেন, ‘‘সব কিছুতেই কেন্দ্রের উপরে নির্ভর করবেন না। কেন্দ্রকেই যদি সব কাজ করতে হয়, তা হলে আপনাদের চেয়ারে থাকার কোনও অর্থ নেই।’’
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বিরোধী আসনেই শরদের দল, চাপ বাড়ল উদ্ধবের
হরিয়ানার মুখ্যসচিব জানান, আগাছা তোলার যন্ত্রের দাম দু’হাজার টাকা। তাই চাষিরা কিনতে রাজি হচ্ছেন না। শুনেই বিচারপতি মিশ্র বলেন, ‘‘হরিয়ানার অবস্থা পঞ্জাবের চেয়েও খারাপ। পঞ্জাব অন্তত জানুয়ারি থেকে মাঠে নেমেছিল। হরিয়ানা নেমেছে এখন।’’ এ দিনই ফসলের গোড়া তোলার যন্ত্র পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের চাষিদের দ্রুত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আজ দিল্লিতে বায়ুর গুণগত সূচক ছিল ১৭৮। যা অস্বাস্থ্যকর হলেও, মোটের উপরে বায়ুপ্রবাহ থাকায় গত ক’দিনের তুলনায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেই মত পরিবেশবিদদের।