ফাইল চিত্র।
পথ নিরাপত্তা নিয়ে ৩০০ শব্দের প্রবন্ধ জমা দিল পুণের পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোর। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে পুণে পুলিশ। বুধবার ওই প্রবন্ধ জমা দিয়েছে অভিযুক্ত কিশোর। ঘটনাচক্রে, পোর্শেকাণ্ডের পর অভিযুক্তকে এই শর্তেই জামিন দিয়েছিল জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড (জেজেবি)। আর জেজেবি-র এই নির্দেশ ঘিরে বিতর্কও চরমে ওঠে।
জেজেবি-র এই নির্দেশে নানা মহল অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। প্রশ্ন ওঠে কী ভাবে এত গুরুতর অপরাধের পরেও কিশোরকে পথ নিরাপত্তা নিয়ে ৩০০ শব্দে প্রবন্ধ লেখার মতো ‘শাস্তি’ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হল? ঘটনার পর অভিযুক্ত কিশোরকে জেজেবি-তে হাজির করানো হয়। তখন জেজেবি শর্তসাপেক্ষে কিশোর জামিন দিয়েছিল। সেই শর্ত ছিল, এক, পথ নিরাপত্তা নিয়ে ৩০০ শব্দের প্রবন্ধ লিখতে হবে। দুই, এক সপ্তাহ ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করতে হবে। জেজেবি-র এই ‘শাস্তি’ নিয়ে হুলস্থুল পড়ে যায়।
পুলিশও এই জামিনের বিরোধিতা করে সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানায় জেজেবি-র কাছে। দেশ জুড়ে এই ঘটনায় ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল। তার পর গত ২২ মে কিশোরকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেয় জেজেবি। কিশোরের বয়স বিবেচনা করে সম্প্রতি তাঁকে হোম থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় বম্বে হাই কোর্ট। আদালতে আবেদন করেছিলেন কিশোরের ঠাকুরমা। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তার পরই তাঁর হাতে কিশোরকে তুলে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত।
গত ১৯ মে পুণের কল্যাণী নগর এলাকায় দুই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারকে পোর্শে চালিয়ে চাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কিশোরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তার বাবা, মা এবং ঠাকুরদাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও পরে তাঁরা জামিন পান।