Pune Porsche Crash

‘সজ্ঞানেই ছিল অভিযুক্ত’, দাবি পুলিশের, পোর্শেকাণ্ডের কিশোরকে বাঁচাতে কি মোটা টাকার টোপ চালককে?

ঘটনার দিন কে গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন তা নিয়ে ধন্দ। পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোরের বাবা তথা ইমারতি ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, তাঁর নাবালক পুত্র নয়, দুর্ঘটনার সময় পোর্শের চালকের আসনে ছিলেন তাঁদেরই গাড়িচালক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৪ ০৮:৫৪
Share:

— ফাইল চিত্র।

ঘটনার দিন কে গাড়ি চালাচ্ছিলেন? পুণের পোর্শেকাণ্ডে এই প্রশ্ন নিয়েই এখন ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের মধ্যে। গাড়ি চালকের বয়ান বদলেই এই প্রশ্ন আরও জোরাল হচ্ছে। কেন তিনি বয়ান বদল করলেন, বয়ান বদলের জন্য কোনও চাপ দেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানালেন পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার। তবে তিনি এ-ও জানান, অভিযুক্ত নাবালক ঘটনার সময় সম্পূর্ণ সচেতন ছিল। সে কী করেছে, তা সম্পর্কে অবগত।

Advertisement

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অমিতেশ বলেন, ‘‘আমরা এই মামলাকে আঁটসাঁট করার চেষ্টা করছি। আমরা ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের বাবা এবং পানশালার মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা রুরু করেছি। প্রমাণের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ চলছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘শুধুমাত্র অভিযুক্তদের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের মামলা সাজাইনি। আমাদের কাছে আরও অন্যান্য প্রমাণও রয়েছে। নাবালক অভিযুক্ত ঘটনার সময় সম্পূর্ণ জ্ঞানে ছিল। এমন নয় যে, সে এত মদ খেয়েছিল, যাতে কিছু বুঝতে পারছিল না। ওই গাড়িতে থাকা সকলেরই জ্ঞান ছিল।’’ এমনকি, থানায় ‘পিৎজ়া পার্টি’ নিয়ে যে খবর ছড়িয়েছিল তা ‘ভিত্তীহীন’ বলে দাবি করলেন পুণের পুলিশ কমিশনার।

Advertisement

গত রবিবার পুণের কল্যাণনগর এলাকায় দুই ইঞ্জিনিয়ারকে পিষে মারার অভিযোগ উঠেছে কিশোরের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার ১৫ ঘণ্টার মধ্যে কিশোরের জামিন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় মহারাষ্ট্রে। শেষমেশ কিশোরকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়। গ্রেফতার করা হয় তাঁর বাবা, ঠাকুরদাকে। পুলিশ ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।

ঘটনার দিন কে গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন তা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোরের বাবা তথা ইমারতি ব্যবসায়ী বিশাল আগরওয়াল, পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর নাবালক পুত্র নয়, দুর্ঘটনার সময় পোর্শের চালকের আসনে ছিলেন তাঁদেরই গাড়িচালক। বিশালের বক্তব্যকে সমর্থন করেছিল অভিযুক্ত কিশোরের দুই বন্ধু। তাদের দাবি, ঘটনার সময় তারাও গাড়িতে ছিল। এই দাবি নিয়ে যখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে, তখন ওই গাড়ি চালকের মুখে শোনা গেল অন্য কথা।

বিশালের পারিবারিক ওই গাড়িচালকের দাবি, নাবালক পুত্রকে পোর্শে চালাতে অনুমতি দিয়েছিলেন তার বাবাই। এমনকি বিশাল তাঁকে বলেছিলেন, ‘ওকে চালাতে দাও’। কিছুটা চাপে পড়েই কিশোরকে স্টিয়ারিং ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি গাড়িচালকের। পুলিশের কাছে গাড়িচালক আরও দাবি করেন, প্রথমে তিনি কিশোরকে গাড়ি চালাতে দিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। পুণের পুলিশ কমিশনার জানান, এই বিযয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement