(বাঁ দিকে) অভিযুক্ত কিশোরের বাবা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই গাড়ি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
তিনিই কি গাড়ি চালাচ্ছিলেন, না কি তাঁকে দিয়ে জোর করে এই দুর্ঘটনার দায় নিতে বাধ্য করা হয়েছে? দুর্ঘটনার পরই চালক নিজে এই দুর্ঘটনার দায় স্বীকার করা নিয়েই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। যদিও পুলিশ বলছে, নাবালক পুত্রকে বাঁচাতে চালককেই ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই-ই নয়, দুর্ঘটনার পরই কিশোরকে সরিয়ে স্টিয়ারিং ধরানো হয়েছিল চালককে। এমনটাই জানিয়েছেন পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার।
তিনি বলেন, “এটা সত্যি যে, শুরুতে চালক বলেছিলেন তিনিই পোর্শে চালাচ্ছিলেন। আমরা এই ঘটনার তদন্ত করছি। এটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কার চাপে চালক এই দায় নিজের ঘাড়ে নিচ্ছেন?” পাশাপাশি তিনি এই তথ্যও খারিজ করে দিয়েছেন যে, দুর্ঘটনার সময় স্টিয়ারিং ছিল চালকের হাতেই! এই প্রসঙ্গে পাল্টা পুলিশ কমিশনার দাবি করেছেন, তাঁদের কাছে দুর্ঘটনার ভিডিয়ো রয়েছে। সেই ভিডিয়োতে স্পষ্ট গাড়ি চালাচ্ছিল কিশোরই।
পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্ত কিশোর যে পানশালায় বসে মদ্যপান করেছিল, সেই ফুটেজও রয়েছে তাঁদের কাছে। শুধু রক্তের নমুনার উপরই ভরসা করা হচ্ছে না। তাঁদের কাছে আরও প্রমাণ আছে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে। পুলিশ কমিশনারের কথায়, “নেশার ঘোরে এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে বলে কিশোর যে দাবি করেছে, তা মোটেও সত্যি নয়। দুর্ঘটনার সময় সম্পূর্ণ সজ্ঞানে ছিল কিশোর।” পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, দুর্ঘনটার কয়েক মিনিটের মধ্যেই টাকার লোভ দেখিয়ে চালককে এই ঘটনায় দায় নিজের কাঁধে নেওয়ার কথা বলেছিলেন অভিযুক্ত কিশোরের বাবা-মা।
গত রবিবার দুই সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিয়ানিয়ারকে গাড়ি দিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে পুণের ইমারতি ব্যবসায়ীর নাবালক পুত্রের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় কিশোরের বাবা, ঠাকুরদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত কিশোরকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে।