দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই পোর্শে। ফাইল চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
৯০ মিনিটে ৪৮ হাজার টাকা খরচ করেছিল পুণেয় পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোর। দুর্ঘটনার আগে দু’টি পাবে গিয়েছিল সে। তার মধ্যে একটি পাবে এই বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে। পুলিশের একটি সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুই ইঞ্জিনিয়ারকে গাড়ি নিয়ে চাপা দেওয়ার আগে কল্যাণ নগরের দু’টি পাবে গিয়েছিল অভিযুক্ত কিশোর। সেখানে মদ্যপান করে। বেশ কিছু ক্ষণ সময়ও কাটিয়েছিল। সূত্রের খবর, প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে কিশোরকে মদ সরবরাহ করলেন পাব মালিকেরা, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে। মঙ্গলবারই কিশোরের বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, দু’টি পাবের মালিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন, শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে একটি পাবে বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করেছিল অভিযুক্ত কিশোর। তার পর সেখান থেকে আরও একটি পাবে যায় সে। মোট ৯০ মিনিটের মধ্যে ৪৮ হাজার টাকা খরচ করেছিল সে। মহারাষ্ট্রের আবগারি দফতর মঙ্গলবারই ওই দু’টি পাব সিল করে দিয়েছে। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১টার মধ্যে দু’টি পাবে বন্ধুদের নিয়ে পার্টি দিয়েছিল কিশোর। তার পর পার্টি শেষে গাড়ি নিয়ে বেরোয় সে। ঘণ্টায় ২০০ কিমি বেগে গাড়ি চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই ইঞ্জিনিয়ারকে পিষে মারে বলে অভিযোগ।
ঘটনার ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই জুভেনাইল আদালত অভিযুক্ত কিশোরকে জামিন দেয়। তা নিয়ে এখন গোটা মহারাষ্ট্রে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কোন যুক্তিতে কিশোরকে জামিন দেওয়া হল, এই প্রশ্ন নিয়ে যখন সরব আমজনতা, পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, কিশোরকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবেই সাজা দেওয়ার ব্যবস্থার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, কিশোর নিজেকে মাদকাসক্ত বলে এই মামলা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে। আদালতে নিজেকে মাদকাসক্ত বলে দাবি করার পাশাপাশি সজ্ঞানে এই ঘটনা ঘটায়নি বলেও দাবি করেছে। পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, তাঁরা এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন যে, নেশার ঝোঁকে নয়, সজ্ঞানেই বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়েছিল সে।