National News

পুলওয়ামায় বিস্ফোরণে দেহ ছিটকে পড়ে ৮০ মিটার দূরে! গাড়িতে আরডিএক্স ছিল ৬০ কেজি

সিআরপিএফ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এতটাই বেশী ছিল যে, এক জনের দেহ ছিটকে ৮০ মিটার দূরে পড়ে!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও শ্রীনগর শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:৩১
Share:

পুলওয়ামার বিস্ফোরণস্থল। বৃহস্পতিবার রয়টার্সের তোলা ছবি।

৬০ কিলোগ্রাম ওজনের অত্যন্ত শক্তিশালী আরডিএক্স বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল পুলওয়ামায়। সিআরপিএফ সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের পর তদন্তকারীরা প্রথমে ভেবেছিলেন, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘জইশ-ই-মহম্মদ’-এর আত্মঘাতী বোমা আদিল আহমেদ দার সাড়ে ৩০০ কিলোগ্রাম ওজনের আরডিএক্স বিস্ফোরক নিয়ে সিআরপিএফের বাসে ধাক্কা মেরেছিল। কিন্তু পরে জানা গিয়েছে, আরডিএক্স বিস্ফোরকের পরিমাণ অতটা ছিল না।

Advertisement

বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার ওই ঘটনায় সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়। সিআরপিএফ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এতটাই বেশী ছিল যে, এক জনের দেহ ছিটকে ৮০ মিটার দূরে পড়ে!

তদন্তে জানা গিয়েছে, যে গাড়িতে আরডিএক্স নিয়ে গিয়ে ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল, সেটি ‘এসইউভি’ ছিল না। ছিল ‘সেডান’ গাড়ি। ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর আরডিএক্স ছড়িয়ে পড়েছিল অন্তত ১৫০ মিটার এলাকা জুড়ে।

Advertisement

আরও পড়ুন- আত্মরক্ষার্থে ভারতের যে কোনও পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন করা হবে, জানিয়ে দিল আমেরিকা​

আরও পড়ুন- উরি-পঠানকোট-ডোকলাম-মায়ানমারের পরে পুলওয়ামা, ফের প্রশ্নের মুখে ডোভাল নীতি​

তবে সরাসরি জওয়ান বোঝাই বাসে ধাক্কা মারেনি ঘাতক। বরং রাস্তার বাঁ দিক ধরে যাওয়া কনভয়ের ৭৮টি বাসের পাশ কাটিয়ে ওই বাসটির কাছে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ভয়াবহতা বাড়াতে বিস্ফোরকে ব্যবহার করা হয়েছিল “শেপ্‌ড চার্জ”। যাতে নির্ভুল ভাবে সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায়। আর বিস্ফোরকের টুকরোগুলি যাতে জওয়ানদের বর্মও ফুঁড়ে দিতে পারে।

সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা সম্পর্কে এগুলি জানেন?

বিস্ফোরণে বাসটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। পরিণত হয় কতগুলি ধাতব টুকরোয়। ২২ বছর বয়সী স্কুলছুট আত্মঘাতী বোমা আদিল আহমেদ দার থাকত বিস্ফোরণস্থল থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে। তবে কী ভাবে সে আরডিএক্স পেল, কারাই বা তাকে সাহায্য করল, তা জানা যায়নি। কী ভাবে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে রাখা জাতীয় সড়কে দার ঢুকে পড়তে পেরেছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement