তাঁবু খুলে নিচ্ছেন কৃষকরা। পিটিআই
আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা করেছিলেন বৃহস্পতিবারই। ঠিক ছিল শুক্রবার বিজয় মিছিল বার করবেন কৃষকরা। কিন্তু, মর্মান্তিক কপ্টার দুর্ঘটনার খবর আসার পর তাঁরা সিদ্ধান্ত বদল করেন। শনিবার বিজয় মিছিল করে সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিয়াবাদ সীমানা থেকে তাঁদের ঘরে ফিরে যাওয়া শুরু করলেন কৃষকরা।
১০ ডিসেম্বর ছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। তাঁদের ‘ঐতিহাসিক’ জয়ের পর ওই দিনই বিজয় মিছিল বার করার সিদ্ধান্ত নেয় সংযুক্ত কিসান মোর্চা। কিন্তু তামিলনাড়ুতে কপ্টার দুর্ঘটনায় সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়ত-সহ ১৩ জনের মৃত্যুর পর সিদ্ধান্তে বদল এনে শনিবার বিজয় মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কৃষকরা যখন ট্র্যাক্টরে করে ঘরে ফিরবেন সেই সময় তাঁদের স্বাগত জানানোর জন্য রাস্তায় বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। জায়গায় জায়গায় সংবর্ধনা দেওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সিঙ্ঘু সীমানায় যাঁরা অবস্থান করছিলেন তাঁরা কুন্ডলি-মানেসার-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়ের কাছে জমায়েত হয়ে বিজয় উৎসব পালন করেন। ভাংড়া এবং স্লোগান দিতে দেখা যায় কৃষকদের। তার পর ট্র্যাক্টরে করে পঞ্জাবের উদ্দেশে রওনা দেন। টিকরি সীমানায় যে কৃষকরা অবস্থান করছিলেন তাঁরা বাহাদুরগড়ের কিসান চকে সকাল ৯টায় জমায়েত হন। যাঁরা গাজিয়াবাদ সীমানায় আন্দোলন করছিলেন তাঁরা সকাল ৯টায় মূল মঞ্চের সামনে জমায়েত হয়ে বিজয় মিছিল বার করেন। আন্দোলন চলাকালীন এলাকা ব্যরিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। সেই ব্যারিকেড তুলে নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।
কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘‘ ইতিমধ্যেই কৃষকরা এলাকা ফাঁকা করতে শুরু করেছেন। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের বড় অংশ রবিবার সকাল ৮টা থেকে তাঁবু গুটিয়ে নিয়ে নিজেদের ঘরের উদ্দেশে রওনা দেন। সীমানাগুলি পুরো খালি করতে অন্তত তিন-চার দিন লাগবে।’’ তাঁর আশা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এলাকাগুলি পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে যাবে।