আন্দোলন: সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। রবিবার শাহিনবাগে। ছবি: রয়টার্স
দিল্লির শাহিনবাগের আন্দোলনকারীরা ১৯ জানুয়ারি কাশ্মীর থেকে হিন্দু পণ্ডিতদের বিতাড়নের সমর্থনে ‘জশন ই শাহিন’ অনুষ্ঠান করবেন বলে আগেই মন্তব্য করেছিলেন চিত্রপরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। আজ সকালে বিজেপি নেতা ও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী প্রশ্ন তোলেন, ৩০ বছর আগে যখন কাশ্মীর থেকে সংখ্যালঘুদের তাড়ানো হয়েছিল তখন শাহিনবাগ সরব হয়নি কেন?
জবাবে শাহিনবাগের টুইটার হ্যান্ডল থেকে জানানো হয়, পণ্ডিত বিতাড়নের সমর্থনে অনুষ্ঠানের খবর পুরোপুরি মিথ্যে। উল্টে এ দিন পণ্ডিতদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানতে শাহিনবাগে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট সদস্য অভিনেতা এম কে রায়না ও পারফরম্যান্স আর্টিস্ট ইন্দর সেলিমকে। কিন্তু তা-ও আজ কয়েক জন কাশ্মীরি পণ্ডিত সেখানে পৌঁছে পণ্ডিতদের সুবিচার দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন। একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, তাঁদের সঙ্গে শাহিনবাগের স্বেচ্ছাসেবীদের কিছুটা হাতাহাতিও হয়। স্বেচ্ছাসেবীরা অবশ্য জানিয়েছেন, ওই পণ্ডিতেরা শাহিনবাগের মঞ্চে বক্তৃতা দিয়েছেন।
অন্য দিকে এ দিনই শাহিনবাগে ধর্নার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আর্জি জানিয়ে শাহিনবাগ থানাকে চিঠি লিখেছেন গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দা বেদ ভূষণ নামে এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, প্রতি দিন ওই পথে যাতায়াতের সময়ে ধর্নার জন্য বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। আজ গাড়ির জন্য রাস্তা ছেড়ে দিতে বলায় আন্দোলনকারীরা তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ বেদের।