Citizenship Amendment ACT

বিক্ষোভে জ্বলছে উত্তরপ্রদেশ, মৃত ৬, গুলি চালায়নি, দাবি পুলিশের

তবে গুলি চালানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীদের মধ্য়ে থেকেই গুলি চলেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:২২
Share:

জ্বলছে বুলন্দশহর। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

দিনভর উত্তরপ্রদেশ জুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের জেরে প্রাণ হারালেন অন্তত ৬জন। সূত্রের খবর, বিজনৌরে দু’জন এবং সম্বল, ফিরোজাবাদ, মেরঠ ও কানপুরে একজন করে বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে গুলি চালানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীদের মধ্য়ে থেকেই গুলি চলেছে।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিংহ বলেন, ‘‘আমরা একটা গুলিও চালাইনি। যদি গুলি চলে থাকে, তাহলে তা বিক্ষোভকারীদের মধ্য়ে থেকেই চলেছে।’’

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে শুক্রবার ফের বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায়। ফিরোজাবাদে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। সেইসময় পুলিশের গুলিতে এক জন প্রাণ হারান বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার সকালেও বুলন্দশহর, গোরক্ষপুর-সহ একাধিক জায়গায় পথে নামেন বিক্ষোভকারীরা। সেই সঙ্গে ব্যাপক ভাঙচুরও চলে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক গাড়িতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিক্ষোভকারীদের।

আগুন জ্বলছে বুলন্দশহরে।

বুলন্দশহরের জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তা চালু হবে না।’’

বৃহস্পতিবার দফায় দফায় সংঘর্ষের পর রাজ্যের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সেই পরিস্থিতিতেই এ দিন সকালে বুলন্দশহরে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে আন্দোলনকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের সঙ্গেই সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে বিক্ষোভ রোখার চেষ্টা করে পুলিশ।

পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে এ দিন তপ্ত হয়ে ওঠে গোরক্ষপুরও। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে, তাতে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি করতে দেখা যায় উত্তেজিত জনতাকে। তাঁদের লক্ষ্য করে পাল্টা ইটবৃষ্টি করে পুলিশও। কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটানো হয়।

১৪৪ ধারা চালু থাকায় এ দিন সকালের দিকে তেমন ঝামেলা না বাধলেও, বেলা বাড়তেই বিক্ষোভে তেতে ওঠে মেরঠ। থামাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। বাহরাইচে পরিস্থিতি আরও চরমে ওঠে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারও দফায় দফায় তেতে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশ। পুলিশের গুলিতে এক জন প্রাণও হারান সেখানে। তার পরই রাজ্য জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি হয়। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে বিক্ষোভকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা নিলামে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement