IIT Guwahati

‘চোখের সামনে ৮ ঘণ্টা ঝুলতে দেখলাম’, আইআইটি গুয়াহাটির ছাত্রমৃত্যুতে কাঠগড়ায় কর্তৃপক্ষ

রবিবার রাতে আইআইটি গুয়াহাটির ব্রহ্মপুত্র হস্টেলের দোতলার বন্ধ ঘর থেকে ওই পড়ুয়ার দেহ পাওয়া যায়। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ছাত্রের বয়স ২১।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৩
Share:

আইআইটি গুয়াহাটিতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত।

ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল আইআইটি গুয়াহাটি। সোমবার সন্ধ্যা থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, ছাত্রমৃত্যুর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। পড়ুয়াদের জীবনের চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে নম্বর বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। মৃতের সহপাঠীদের চোখেমুখেও আতঙ্ক। এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘হস্টেল ঘরের ঘুলঘুলি দিয়ে দেখলাম, আমার বন্ধু ফ্যানের থেকে ঝুলছে।’’

Advertisement

রবিবার রাতে আইআইটি গুয়াহাটির ব্রহ্মপুত্র হস্টেলের দোতলার বন্ধ ঘর থেকে ওই পড়ুয়ার দেহ পাওয়া যায়। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই ছাত্রের বয়স ২১। ইঞ্জিনিয়ারিং তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য হস্টেলেও। সোমবার সারা দিন জুড়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগও।

মৃতের এক বন্ধু সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, ‘‘বন্ধুকে ও ভাবে ঝুলতে দেখে দরজা ভাঙার চেষ্টা করতে গিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন। দরজা ভাঙতে আধ ঘণ্টা সময় লাগান তাঁরা। ওকে বাঁচানো সম্ভব কি না, সেই চিন্তাই ছিল না কারও।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দরজা খোলার পরেও নার্সকে ভাল করে পরীক্ষা করতে দেননি নিরাপত্তারক্ষীরা। সারা রাত তাঁর দেহ নামানো হয়নি। দরজা খোলার ৮ ঘণ্টা পর দেহ নামানো হয়।’’

Advertisement

কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ মৃতের বন্ধুদের। এমনকি, পরিবারকে খবর দিতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, সে সময় যাঁরা ভিডিয়ো তুলেছিলেন, তা মুছে ফেলারও চেষ্টা করা হয় বলে দাবি পড়ুয়াদের। যদিও এই সব অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি কর্তৃপক্ষ।

ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবরে আইআইটি গুয়াহাটি শোকাহত। এই কঠিন সময়ে আমরা ওই ছাত্রের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে একাধিক কমিটি রয়েছে। শিক্ষকেরাও সব সময়েই ছাত্রদের যে কোনও প্রয়োজনে সে সব কমিটির সাহায্য নিতে বলেন। যদিও পড়ুয়া এবং কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা কার্যকর করার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের অনীহার অভিযোগও তোলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এই নিয়ে আইআইটি গুয়াহাটিতে চার পড়ুয়ার মৃত্যু হল। এর আগে ৯ অগস্টও হস্টেলের ঘর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতকোত্তরের এক ছাত্রীর দেহ পাওয়া গিয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement