শিশুমৃত্যুতে উত্তপ্ত পটনা। ছবি: সংগৃহীত।
স্কুলের জলের ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে বছর পাঁচেকের এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পটনা। শুক্রবার সকাল থেকে শিশুর পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়রা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় স্কুলের একটি অংশে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়েছিল শিশুটি। স্কুল ছুটি হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পরিবার। তারা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। স্থানীয়রাও শিশুটির খোঁজ চালাতে থাকেন। কিন্তু দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও শিশুটির কোনও হদিস না পাওয়ায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন শিশুটির বাবা-মা। পটনার পুলিশ সুপার চন্দ্র প্রকাশ জানিয়েছেন, বুধবার রাতে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার পরই আমাদের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে শিশুটিকে স্কুলে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু বেরোতে দেখা যায়নি। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও শিশুটির কোনও খোঁজ না মেলায় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে শিশুটির আত্মীয়দের। তাঁরা স্কুলে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে শিশুটির সম্পর্কে জানতে চান। কিন্তু অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কোনও কিছু গোপন করার চেষ্টাও হচ্ছিল বলে দাবি শিশুর পরিবারের।
স্থানীয়রা স্কুল পরিসরে সকাল থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তখনই জলের ট্যাঙ্ক থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। শিশুটির দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে তিন জনকে।