ভারী বৃষ্টিতে ধস নেমেছে মান্ডিতে। ধসে বন্ধ চণ্ডীগড়-মানালি জাতীয় সড়ক। ১২ ঘণ্টা পরে রাস্তা খোলা সম্ভব হয়। পিটিআই।
ধস নেমে হিমাচলপ্রদেশের স্পিতিতে মৃত্যু হল এক ঠিকাকর্মীর। গত তিন দিন একটানা বৃষ্টিতে নাজেহাল গোটা রাজ্য। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৮৪টি ছোট-বড় রাস্তা। জায়গায় জায়গায় ধস নামায় গাড়ি চলাচল সমস্যার মুখে। মান্ডি জেলায় বিরাট ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চণ্ডীগড়-মানালি জাতীয় সড়ক। প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে রাস্তাটি খোলা সম্ভব হয়।
বুধবার রাতে স্পিতির কাজ়ায় রাস্তা তৈরির কাজ করার সময়ে ধস নেমে মৃত্যু হয়েছে হরি কুমার নামে এক ঠিকাকর্মীর। গুরুতর আহত হয়েছেন এক জন। সূত্রের খবর, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত বাহিনীর অধীনে কৌরিক গ্রামে একটি প্রকল্পের কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান হরি। রাজ কুমার নামে এক কর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে বিলাসপুর জেলা। পিডাব্লিউডি জানিয়েছে, বহু রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় এখনও পর্যন্ত
তাদের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মান্ডি ও শিমলায় ভেঙে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি। আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদনের জন্য পাহাড়ের যত্রতত্র খননকাজ চালানোর ফলেই এ ভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এই মাসের গোড়াতেই কিন্নরে ধস নেমে মৃত্যু হয় অন্ততপক্ষে ২৫ জনের। তার জেরে আজ সকাল থেকে জেলার সদর দফতর ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ। হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘কিন্নরকে বাঁচান’ বা ‘না মানে না’ এর মতো বার্তা। বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি অবিলম্বে বন্ধ করতে সরকার ও বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির কাছে আর্জি জানান তাঁরা। কিন্নরে প্রস্তাবিত ৮০৪ মেগাওয়াটের
একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়েও প্রবল অসন্তোষ জানান বাসিন্দারা। কিন্নরের মানুষদের পাহাড় রক্ষার এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। একটি সংস্থার প্রেসিডেন্ট শান্তা কুমার নেগী জানান, কিন্নরের মানুষ বিকাশের জন্য একজোট হয়েছেন, বিনাশের জন্য না। স্থানীয় জনজাতিদের জমি অরণ্যের অধিকার আইন ভেঙে বাইরের লোকের দখলে চলে যাওয়ার প্রতিবাদে সরব হন বাসিন্দারা।