বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
পয়গম্বর বিতর্কে বিজেপির প্রকাশ করা একটি প্রেস বিবৃতিকে ‘ভারতের প্রেস বিবৃতি’ হিসেবে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানোর অভিযোগ উঠল ওমানের ভারতীয় দূতাবাসের বিরুদ্ধে।
প্রেস বিবৃতিটি বিজেপির দলীয় প্যাডে লেখা। বিবৃতিতে বিজেপি জানিয়েছে, তাঁরা সব ধর্মের একসঙ্গে মিলেমিশে থাকায় বিশ্বাসী। হাজার হাজার বছর ধরে ভারতে এই ঐতিহ্যই চলে আসছে। বিজেপিও এই ধারারই সমর্থককে। তারা কোনও ধর্মকে অসম্মান করায় বিশ্বাস করে না। বিবৃতির শেষে ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সাধারণ সচিব এবং বিজেপির সদর দফতরের ভারপ্রাপ্ত অরুণ সিংহের স্বাক্ষরও রয়েছে। এক অনাবাসী ভারতীয় লেখক রেজিমন কুত্তাপ্পান জানিয়েছেন, বিবৃতিটি ওমানের সংবাদ মাধ্যমকে ই-মেল মারফত পাঠিয়েছে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাস। ওই ই-মেলের একটি মোবাইল স্ক্রিনশটও টুইটারে শেয়ার করে লেখক জানতে চেয়েছেন, কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা দূতাবাস কি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বিবৃতি এ ভাবে ‘ভারতের বিবৃতি’ হিসেবে পাঠাতে পারে?
উল্লেখ্য, পয়গম্বর নিয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি মুখপাত্র নুপূর শর্মা। তার প্রতিক্রিয়ায় আরব দেশগুলি ভারতের তীব্র সামালোচনা করে। চাপে পড়ে ওই বিজেপি নেত্রীকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। তবে তারপরও বিতর্ক থামেনি। গত ৫ জুন বিজেপির তরফে ওই প্রেস বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই ভারতীয় লেখক।
টুইটারে রেজিমনের এই প্রশ্নকে সমর্থন করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও। তাঁর টুইট উদ্ধৃত করে তিনি ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘‘ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রের শাসক দলের মধ্যে কি তবে আর কোনও তফাত থাকছে না?’’ রেজিমনের বক্তব্য শশী শেয়ার করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজেও। তবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এর প্রতিক্রিয়ায় কোনও জবাব আসেনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।