Cheetah

মোদীর আনা চিতা খুঁজতে গিয়ে বিপত্তি, গরুচোর ভেবে বন দফতরের দলকে গণধোলাই গ্রামবাসীদের

ওই গ্রামে বেশ কিছু দিন ধরেই গরুচোরের উপদ্রব বেড়েছে। একদল মানুষকে গাড়িতে করে গ্রামের আশপাশে চক্কর দিতে দেখে গ্রামবাসীদের প্রথম সন্দেহ হয়। তারা শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ভোপাল শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৩ ১৬:২৪
Share:

গরুচোর ভেবে বনকর্মীদের গণধোলাই গ্রামবাসীদের। — ফাইল ছবি।

চিতা নিয়ে ভারতের দুশ্চিন্তা কমছে না কিছুতেই। এ বার চিতা খুঁজতে গিয়ে গণধোলাই খেলেন বন দফতরের কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানের পার্শ্ববর্তী বুড়াখেদা গ্রামে। জানা গিয়েছে, কুনোর কর্মীদের ডাকাত ভেবেছিলেন গ্রামবাসীরা। তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি। মারধরে আহত হয়েছেন চার বনকর্মী। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবারই কুনোর জঙ্গলে মৃত্যু হয়েছে ২টি চিতাশাবকের। এ নিয়ে গত ২ মাসে কুনোতে মৃত্যু হল ৬টি চিতার। এই আবহে পূর্ণবয়স্ক চিতা ‘আশা’কে খুঁজতে নেমেছিল কুনো জাতীয় উদ্যানের বিশেষ দল। জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁরা জঙ্গলে আশার খোঁজে ঘুরছিলেন। রাতে তাঁরা এসে পৌঁছন বুড়াখেদা গ্রামের কাছে।

অত রাতে একদল মানুষকে আসা-যাওয়া করতে দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। গরুচোর মনে করে তারা হামলা করেন বন দফতরের দলটির উপর। আচমকা হামলায় হতবাক হয়ে পড়েন বনকর্মীরা। এর মধ্যেই ঢিলের ঘায়ে আহত হন একাধিক বনকর্মী। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বন দফতরের একটি গাড়িও। শুধু পাথরবৃষ্টিই নয়, বনকর্মীদের গরুচোর ভেবে লাঠিপেটাও করা হয়। আহত হন ৪ বনকর্মী। তাঁদের নিকটবর্তী পোহরি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে বেশ কিছু দিন ধরেই গরুচোরের উপদ্রব বেড়েছে। একদল মানুষকে গাড়িতে করে গ্রামের আশপাশে চক্কর দিতে দেখে গ্রামবাসীদের প্রথম সন্দেহ হয়। তারা শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালান। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, গুলির আওয়াজ শুনেও যখন তা পাত্তা না দিয়ে টহলদারি জারি থাকে, তখনই হামলা করার পরিকল্পনা করা হয়। বনকর্মীরা যে ধরনের পোশাক পরে এসেছিলেন, ডাকাত দলের সদস্যরাও সাধারণত তেমনই পোশাক পরেন। তা দেখেই গ্রামবাসীদের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।

কুনো ফরেস্ট সার্কলের ডিএফও পিকে বর্মা জানিয়েছেন, স্থানীয় থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হামলার পিছনে কারা রয়েছেন তা পুলিশ তদন্তে করে বার করবে। যদিও এখনও পর্যন্ত একজন গ্রামবাসীকেও চিহ্নিত করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement