—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীকে অধ্যাপক জানিয়েছিলেন, আট বছরের মেয়েকে নিয়ে স্কুটারে চেপে বেড়াতে যাচ্ছেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ফিরবেন। কয়েক ঘণ্টা পর হরিয়ানার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের দফতর থেকে উদ্ধার হল অধ্যাপক এবং মেয়ের দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, সার্জিক্যাল ব্লেড দিয়ে মেয়ের গলা কেটেছেন তিনি। একই ব্লেডে নিজের গলাও কেটেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম সন্দীপ গোয়েল। হিসারের লালা লাজপৎ রাই ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সে পড়াতেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে। সেখানেই দফতর থেকে মিলেছে বাবা-মেয়ের দেহ। সন্দীপের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। হিসারের সহকারী সুপার রাজেশ মোহন জানিয়েছেন, যে চিকিৎসককে দেখাতেন সন্দীপ, তাঁর সঙ্গেও কথা বলা হবে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেনসিক দল।
রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ মেয়েকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন সন্দীপ। অনেক ক্ষণ কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। তাঁর স্ত্রী খোঁজ করতে করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন। সেখানে গিয়ে দেখেন, বাইরে সন্দীপের স্কুটার পার্ক করা। কিন্তু তাঁর দফতরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। নিরাপত্তারক্ষীকে খবর দেন তিনি। এর পর দরজা ভাঙা হয়। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাবা-মেয়ের দেহ।