ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
সিনেমার অ্যাকশনের দৃশ্যে ঠিক এ ভাবেই খলনায়কের উপর চড়াও হন নায়ক। তবে মধ্যপ্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে একটি সরকারি কলেজের ভিতর। খোদ অধ্যক্ষের ঘরে, তাঁর সঙ্গেই। জরুরি আলোচনার জন্য কলেজের এক অধ্যাপককে নিজের ঘরে ডেকে পাঠিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। কিন্তু আলোচনা আচমকাই বচসায় গিয়ে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অধ্যক্ষের উপর চড়াও হন অধ্যাপক। ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো ফুটেজ নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তা দেখে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর ওই সরকারি কলেজের নাম নাগুলাল মালব্য গভর্নমেন্ট কলেজ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ জানুয়ারি। কলেজের অধ্যক্ষ শেখর মেদমওয়ার জানিয়েছেন, কলেজের সহকারী অধ্যাপক ব্রহ্মদীপ আলুনেকে তিনি ডেকে পাঠিয়েছিলেন, কলেজ সংক্রান্ত কয়েকটি সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন বলে। কিন্তু হঠাৎই রেগে গিয়ে তাঁকে মারতে শুরু করেন ওই সহকারী অধ্যাপক।
নেটমাধ্যমে ঘটনাটির যে ভিডিয়ো ফুটেজ ছড়িয়েছে, সেটি রেকর্ড হয়েছিল কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। তাতে প্রথমে দু’জনকে পরস্পরের দিকে আঙুল তুলে কথা বলতে দেখা যায়। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলায়। দেখা যায়, টেবিলের উল্টোদিক থেকে হাতের কাছে যা পাচ্ছেন তা-ই অধ্যক্ষকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারছেন ওই অধ্যাপক। পরে চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে অধ্যক্ষের মুখে পর পর ঘুসিও চালাতে দেখা যায় তাঁকে। তবে এই ঘটনাটির কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘরে চলে আসেন বেশ কয়েক জন। অধ্যাপকের হাত থেকে অধ্যক্ষকে বাঁচান তাঁরাই। যদিও দু’জনের মধ্যে কী নিয়ে কথা হচ্ছিল, কেন বচসা, তা ফুটেজ দেখে বোঝার উপায় নেই। কারণ সেখানে কোনও শব্দ রেকর্ড হয়নি।
শেখরের দাবি, ব্রহ্মদীপ সম্প্রতিই ভোপাল থেকে বদলি এসেছেন উজ্জয়িনীর এই কলেজে। কিন্তু প্রতিদিনই তিনি কলেজে আসার পর পাঁচ কিলোমিটার হাঁটার নাম করে বেরিয়ে যান। কোভিড পরিস্থিতিতে অধ্যাপকের সংখ্যা এমনিতেই কম হওয়ায় তাতে অসুবিধা হয়। সে কথা জানাতেই অধ্যক্ষকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেন ব্রহ্মদীপ। আচমকা মারধরও শুরু করেন। অন্যদিকে ব্রহ্মদীপের দাবি, তাঁকে ডেকে অপমান করেছিলেন অধ্যক্ষ। তাতেই মেজাজ হারান তিনি। সহকারী অধ্যাপক আরও জানিয়েছেন, অধ্যক্ষ সবার সঙ্গেই অত্যন্ত খারাপ আচরণ করেন। তাঁর জন্য না কি ইতিমধ্যে কলেজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন আরও তিন জন অধ্যাপক। পুলিশ এই মামলায় অবশ্য এখনও ব্রহ্মদীপকে গ্রেফতার করেনি।