Sonali Phogat

বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগতের মৃত্যুর তদন্ত করবে সিবিআই, জানালেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত

গত মাসে গোয়ায় মৃত্যু হয় সোনালি ফোগতের। প্রথমে জানা যায়, তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান পরিবারের সদস্যরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পানজিম শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:৫৯
Share:

সিবিআই তদন্ত নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল চিত্র।

বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগতের মৃত্যুর তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে সিবিআইকে। সোমবার এ কথা জানালেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত।

Advertisement

সোনালির মৃত্যুর প্রসঙ্গে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘মানুষের দাবি মেনে, বিশেষত, ওঁর (সোনালি) মেয়ের দাবি অনুযায়ী আমরা এই ঘটনার তদন্ত ভার সিবিআইকে দিচ্ছি। এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখছি। আমরা আমাদের পুলিশের উপর ভরসা রাখি। ওরা ভালই তদন্ত চালাচ্ছে। কিন্তু মানুষ যে হেতু চেয়েছে, তাই সিবিআই তদন্ত।’’

হরিয়ানার বিজেপি নেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরকার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না দিলে গণবিক্ষোভ করা হবে বলে রবিবারই হরিয়ানা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ‘সর্ব জাতীয় খাপ মহাপঞ্চায়েত’।

Advertisement

গত ২৩ অগস্ট গোয়ায় মৃত্যু হয় সোনালির। প্রথমে জানা যায়, তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান পরিবারের সদস্যরা। এর পরই সোনালির মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। তদন্তে নেমে সোনালির ব্যক্তিগত সহকারী সুধীর ও আরও এক সহযোগী সুখবিন্দর সিংহ, এক রেস্তরাঁ মালিক এডউইন নুনেজ এবং সেই সঙ্গে দত্তপ্রসাদ গাওঁকর ও রামদাস মান্দ্রেকর নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফোটোশ্যুটের নাম করে গুরুগ্রাম থেকে গোয়ায় সোনালিকে নিয়ে যান সুধীর। গোয়ায় ফোটোশ্যুটের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। আদতে সোনালিকে হত্যা করতেই ছক কষেছিলেন সুধীর ও তাঁর সহযোগীরা। পুলিশি জেরায় এ কথা জানিয়েছেন সুধীর। মৃত্যুর কিছু ক্ষণ আগে গোয়ায় একটি রেস্তরাঁয় ছিলেন সোনালি। গোয়ার সেই রেস্তরাঁর সিসিটিভি ফুটেজও পেয়েছে পুলিশ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এলোমেলো পদক্ষেপে রেস্তরাঁ থেকে বেরোচ্ছেন সোনালি। ঠিক মতো হাঁটতেও পারছিলেন না তিনি। দেখা যাচ্ছে, সহকারীর কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। সোনালির পানীয়ের মধ্যে অভিযুক্তরা ১.৫ গ্রাম ‘এমডিএমএ’ নামক এক ধরনের মাদক মিশিয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই মাদক মেশানো পানীয় পান করার পরই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন সোনালি। তাঁকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া জলের বোতলেও ওই মাদকের সামান্য চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement