জ্ঞানবাপী মামলায় রায়দান হতে পারে সোমবারই। ফাইল চিত্র।
জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার রায়দান হবে সোমবার। বারাণসী জেলা এবং দায়রা আদালতে সেই শুনানির আগে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে ওই মজজিদ এলাকায়। বারাণসীর একাধিক জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এমনকি, জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে হোটেল এবং গেস্ট হাউসে কারা আসছেন এবং যাচ্ছেন, সব নজরে রাখছে পুলিশ। নেটমাধ্যমে এ নিয়ে কোনও লেখালেখির দিকেও নজর থাকছে প্রশাসনের।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত জ্ঞানবাপী মসজিদের অভ্যন্তরে পুজো করার অধিকার চেয়ে পাঁচ হিন্দু মহিলার মামলা করেছিলেন। পাঁচ মহিলা যে আবেদন জানিয়েছিলেন, ১৯৯১ সালের ধর্মরক্ষা আইন অনুযায়ী তা বিচার্য কি না, সেই বিষয়ে সোমবার এই রায়দান করবে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। এর পর দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকরের নিযুক্ত কমিটি মসজিদের অন্দরে সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষক দল গঠন করে। সেই কাজ শেষ হওয়ার পরেই গত ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত।
এর পর মসজিদ চত্বরে ওজুখানায় শিবলিঙ্গের উপস্থিতি সম্পর্কে দাবি করে তার বয়স জানার জন্য ‘কার্বন ডেটিং’ পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সেই সব দাবি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। বারাণসী আদালতের নির্দেশ অনুসারে, মসজিদের ভিতর ভিডিয়োগ্রাফি করা শেষ হয়েছে। যদিও তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। আদালত নির্দেশ দেয় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে এই মসজিদের কাঠামো পরীক্ষা করে দেখার।