কেভড়িয়ায় জঙ্গল সাফারিতে অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশে অপরাধী খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গড় গোরক্ষপুরে দাঁড়িয়ে ‘অপরাধী’ খুঁজে দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
শুক্রবার দলের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে উত্তরপ্রদেশ যান অমিত। সেখানে দলীয় কর্মীদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি দাবি করেন, যোগীর সুশাসনে এখন দূরবিন দিয়ে খুঁজলেও, অপরাধী পাওয়া যাবে না। অমিত যখন ওই দাবি করছিলেন, তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া লখিমপুর খেরি-কাণ্ডে টেনির ছেলে আশিসের বিরুদ্ধে যেমন কৃষক হত্যার অভিযোগ উঠেছে, তেমনই অভিযোগে নাম রয়েছে অজয়েরও। বিরোধীদের অভিযোগ, আশিসের প্রধান মদতদাতা তাঁর পিতা অজয়। তাই ঘটনায় তাঁর ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। আজ সেই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে গোরক্ষপুরে ‘প্রতিজ্ঞা জনসভা’য় অমিতের উদ্দেশে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে অপরাধীদের খুঁজতে দূরবিনের প্রয়োজন নেই। চশমা থাকলেই মঞ্চে দাঁড়ানো অজয় মিশ্র টেনিকে চোখে পড়ত।’’ গোরক্ষপুরে দাঁড়িয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকেও ছেড়ে কথা বলেননি প্রিয়ঙ্কা। প্রিয়ঙ্কার কথায়, ‘‘ব্রাহ্মণ থেকে দলিত রাজ্যের সব শ্রেণির মানুষ যোগীর শাসনে ক্ষুব্ধ। রাজ্য প্রশাসন সম্পূর্ণ ভাবে ধর্মীয় নেতা গোরক্ষনাথের বিচারের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করছে।’’
এক বছর ধরে কৃষক বিক্ষোভের কারণে অস্বস্তিতে নরেন্দ্র মোদী সরকার। যে আন্দোলনের কারণে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বড় মাপের ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা করছে দল। আজ কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘অতীতে যে ভাবে কংগ্রেস দেশের কৃষকদের ঋণ মুকুব করেছিল, তেমনি উত্তরপ্রদেশে দল ক্ষমতায় এলে কৃষকদের সব ঋণ মুকুব করে দেবে। ধান ও গমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য করা হবে প্রতি কুইন্টাল ২৫০০ টাকা।’’ তাঁর প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় এলে মৎস্যচাষকে কৃষির মর্যাদা দিয়ে মৎস্যচাষিদের কৃষকদের মতো সব ধরনের সাহায্য করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, লখিমপুর-কাণ্ডের পর থেকে যে ভাবে প্রিয়ঙ্কার নেতৃত্বে কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশে সক্রিয় হয়েছে, তাতে কংগ্রেস-এসপি জোট না হলে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগের আশঙ্কা করছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। তাতে ক্ষতি হবে এসপি-র। তাই আজ প্রিয়ঙ্কাকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি অখিলেশ। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেস হোক বা বিজেপি দু’দলই উত্তরপ্রদেশের জন্য ক্ষতিকর।’’