স্মৃতি: ঠাকুরমার মৃত্যুদিনে তাঁর সঙ্গে নিজের ছোটবেলার এই ছবি টুইট করেছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। ছবি: টুইটার।
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুদিনে তাঁকে আবেগঘন শ্রদ্ধা জানালেন তাঁর দুই নাতি-নাতনি— রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
ঠাকুরমা ইন্দিরাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তিন মিনিটের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন রাহুল। তাতে লেখা ‘আমার প্রিয় দাদি’। ঠাকুমার অন্ত্যেষ্টির আগে তাঁর মুখ ছুঁয়ে কান্নার ভিডিয়ো পোস্ট করে রাহুল লেখেন, ‘‘এটা আমার দাদির অন্ত্যেষ্টির...আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন, বা বলা যায় দ্বিতীয় সবচেয়ে কঠিন দিন। দাদি বলেছিলেন, ‘কেঁদো না’। দেখুন, আমি মুখ লুকোচ্ছি। মৃত্যুর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কিছু হলে কেঁদো না’। আমি বুঝিনি, তিনি কী বলতে চেয়েছিলেন। এর দু’-তিন ঘণ্টা পরে তিনি মারা গিয়েছিলেন...মনে হয় বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁকে মারা হবে। আমার মনে হয়, বাড়ির বাকিরাও সেটা বুঝতে পেরেছিলেন।’’ এই প্রসঙ্গেই নিজের বাবার কথাও বলেছেন রাহুল। স্মৃতিচারণের ভঙ্গিতে রাহুলের বক্তব্য, ‘বাড়িতে বাবা (প্রয়াত রাজীব গাঁধী) খুব কড়া ছিলেন...আর আমার ছিলেন এক জন মা এবং এক জন ‘সুপার মা’ মানে দাদি। বাবা রেগে গেলে তিনিই আমাকে বাঁচাতেন।’
ঠাকুরমার দেহের সামনে ছোট্ট রাহুল। ছবি: টুইটার।
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন রাহুলের বোন তথা ইন্দিরার নাতনি প্রিয়ঙ্কাও। ঠাকুরমার সঙ্গে খেলায় মেতে ওঠার একটি সাদা-কালো ছবি পোস্ট করে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘তোমার জীবন সাহস, নির্ভয়তা এবং দেশপ্রেমের বার্তা দেয়।’
তবে ইন্দিরার মৃত্যুদিনেও সুর কেটে দিল পঞ্জাব কংগ্রেস। এ দিন বেলা পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে সামাজিক মাধ্যমে ইন্দিরাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়নি। বেলার দিকে গত বছর প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুদিনের একটি ছবি পোস্ট করে রাজ্যের কংগ্রেস নেতা সুনীল জাখর অভিযোগের সুরে লেখেন, ‘‘আমি বুঝি বিজেপি ‘ভারতের লৌহ মানবী’কে ইতিহাস থেকে মুছতে চাইছে। কিন্তু পঞ্জাবে কি এখন কংগ্রেসের সরকার নয়!’’ জাখরের এই টুইটে কিছু পরে পঞ্জাব কংগ্রেসের তরফে ইন্দিরাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বার্তা দেওয়া হয়।
ইন্দিরার মৃত্যুদিনে এক লাইনে টুইট করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লিখেছেন, ‘‘দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীকে তাঁর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা।’’