—ফাইল চিত্র।
কর্নাটকের আস্থাভোটে হেরে গিয়েছে জেডিএস-কংগ্রেস জোট। বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিকল্প সরকার গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। এই সময়েই নরেন্দ্র মোদীর দলকে তীক্ষ্ণ আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। টুইটারে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপি এক দিন বুঝবে, দুনিয়ার সব কিছু কেনা যায় না। সবাইকে বোকা বানানো যায় না। সব মিথ্যে কথাই এক দিন সামনে আসে।’’
কংগ্রেস-জেডিএস জোটের ১৫ জন বিধায়কের ইস্তফা, হাইকম্যান্ডের নির্দেশ আগ্রাহ্য করে আস্থাভোটের সময়ে বিএসপির এক মাত্র বিধায়কের গরহাজির থাকা, দু’জন নির্দল বিধায়কের শিবির বদলের জেরে গত কাল হেরে গিয়েছে এইচ ডি কুমারস্বামীর সরকার। জোটের বিধায়কদের মুম্বইয়ের হোটেলে নিয়ে যাওয়ার পিছনে বিজেপির হাত থাকার দাবি করেছেন কংগ্রেস-জেডিএস জোটের নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে ‘অপারেশন কমল’ সফল করার জন্য কোটি কোটি টাকা ছড়িয়েছে বিজেপি। যার জেরে কর্নাটকে উল্টে গিয়েছে জোট সরকার। এই প্রেক্ষাপটেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা।
সরকারের পতনের পরেই টুইট করে রাহুল বলেন, ‘‘শুরু থেকেই স্বার্থান্বেষীদের নিশানায় ছিল কর্নাটকের জোট সরকার। জোটের ভিতরে ও বাইরে সক্রিয় ছিল তারা। নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পথে জোট সরকারকে বাধা হিসেবে দেখছিল তারা। ওদের লোভের জয় হয়েছে আজ।’’ রাহুলের আক্রমণের পরেই মোদী শিবিরকে নিশানা করেন প্রিয়ঙ্কা। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘যত দিন না সেই সত্য স্পষ্ট হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত ওদের লাগামছাড়া দুর্নীতি দেশবাসীকে সহ্য করতে হবে। মানুষের স্বার্থরক্ষায় গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করে দেওয়া, যুগ যুগ ধরে গড়ে তোলা ভারতীয় গণতন্ত্রের ভিতকে দুর্বল করে দেওয়ার ঘটনাগুলি দেখে যেতে হবে।’’
বিজেপি অবশ্য সমালোচনায় তোয়াক্কা না করে নতুন সরকার গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইয়েদুরাপ্পা আজ জানান, বিকল্প সরকার গড়ার ব্যাপারে মোদী ও অমিত শাহের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। যে কোনও সময়েই বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকতে চলেছেন, তার পরেই যাবেন রাজভবনে। নতুন করে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় আজ আরএসএসের নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন ইয়েদুরাপ্পা। তাঁর রাজনৈতিক উত্থানের পিছনে সঙ্ঘের ভূমিকাকে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
এরই মধ্যে আজ কুমারস্বামী জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে তাঁর দল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট রাখবে কি না, তা এখনই তাঁর পক্ষে নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। জেডিএস নেতা জানান, দলকে গড়ে তোলাই এখন তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করেই জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন কুমারস্বামী।
এ দিনই কর্নাটকের দুই নির্দল বিধায়ক সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের মামলা তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। স্পিকারকে দ্রুত আস্থাভোট করানোর নির্দেশ দেওয়ার জন্য কয়েক দিন আগে শীর্ষে আদালতে গিয়েছিলেন তাঁরা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।