ওয়েনাড়ে প্রচারসভায় প্রিয়ঙ্কা ও রাহুল। ছবি: পিটিআই।
ওয়েনাড়বাসী জানতেন, সত্যের জন্য লড়াই করছেন রাহুল! রবিবার ওয়েনাড়ের মানন্তবাদির নির্বাচনী সমাবেশে গিয়ে এমনটাই বললেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। জানালেন, তাঁর বিশ্বাস, ভাই তথা রায়বেরেলির সাংসদ রাহুল গান্ধীর উপর আস্থা রয়েছে ওয়েনাড়ের মানুষের।
ওয়েনাড়ে আসন্ন লোকসভা উপনির্বাচনের আগে পুরোদমে প্রচারে নেমেছে কংগ্রেস। রবিবার নির্বাচনী প্রচারের দ্বিতীয় পর্বে ওয়েনাড়ের মানন্তবাদিতে পৌঁছন প্রিয়ঙ্কা। সঙ্গে ছিলেন রাহুলও। সেখানেই বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘মোদী সরকার শুধু তার ব্যবসায়ী বন্ধুদের কথা ভাবে। দেশে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা, জীবনযাত্রার উন্নত মান এবং দেশের মানুষকে কর্মসংস্থান দেওয়া তাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং তাদের একমাত্র লক্ষ্য ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের নানা সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ, বিদ্বেষ ছড়ানো।’’ দিদির সমর্থনে ওই সভায় বক্তৃতা করেন রাহুলও। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারও প্রচারের জন্য ওয়েনাড়ের চুঙ্গাথ্রায় গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেখানে এক জনসভায় কংগ্রেস প্রার্থী বলেন, ‘‘আপনারা যদি নিজেদের জন্য এক জন যোদ্ধা চান এবং আমাকে যদি সমর্থন করেন, পাশে থাকেন, তবে আমায় সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত করুন। প্রতিজ্ঞা করছি, আপনাদের নিরাশ করব না।’’ ওয়েনাড়ের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের ভূমিকারও সমালোচনা করেন সনিয়া-কন্যা।
এর আগেও বহুবার নির্বাচনী প্রচারে দেখা গিয়েছে প্রিয়ঙ্কাকে। কিন্তু আগে কখনও তিনি নির্বাচনে লড়েননি। গত ২৩ অক্টোবর ওয়েনাড় লোকসভার উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রথমবার নির্বাচনী রাজনীতিতে পা রাখেন প্রিয়ঙ্কা। আগামী ১৩ নভেম্বর ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। গত লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী এবং ওয়েনাড়, দুই কেন্দ্র থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। দু’টি কেন্দ্রেই তিনি জয়ী হন। পরে রায়বরেলী আসনটি রেখে ওয়েনাড় কেন্দ্রটি ছেড়ে দেন রাহুল। তাই ওয়েনাড়ে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। দাদা রাহুলের স্থানে এ বার সেখানে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন বোন। আপাতত ওয়েনাড়ে প্রিয়ঙ্কার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের রাজ্য সহ-সম্পাদক সত্যেন মোকেরিকে। তা ছাড়া বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নব্যা হরিদাসও রয়েছেন লড়াইয়ে।