অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর ‘সাসপেনশন’-এর বিষয় নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, অধীরকে ডেকে তাঁর বক্তব্য শোনা হবে। স্বাধিকার রক্ষা কমিটির পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা ৩০ অগস্ট।
গত ১০ অগস্ট অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির শেষে ‘অসংসদীয় আচরণের’ অভিযোগ তুলে অধীরের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব এনেছিলেন সংসদ বিষয়ক প্রহ্লাদ জোশী। বিরোধীশূন্য লোকসভায় সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে অধীরকে ‘সাসপেন্ড’ করেন স্পিকার ওম বিড়লা। তার আগেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জবাবি ভাষণ চলাকালীন অধীর-সহ ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাংসদেরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন। অধীরকে ‘সাসপেন্ড’ করা নিয়ে অনেকে এ প্রশ্নও তুলেছিলেন যে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই কী ভাবে এমনটা করা যায়? এর পরেই জানা গেল, অধীরকে ডেকে তাঁর বক্তব্য শোনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদের স্বাধিকার রক্ষা কমিটি।
বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, স্বাধিকার রক্ষা কমিটি ডাকলে তিনি যাবেন। কিন্তু ক্ষমা চাইবেন না। অধীরের দাবি, ‘‘আমি কোনও অসংসদীয় শব্দ বলিনি। কাউকে আঘাত বা অপমান করিনি। হয়তো বিজেপি আগামী দিনে ‘গেরুয়া অভিধান’ চালু করবে। শাসক পক্ষের সাংসদদের সব কিছু বলার ছাড়পত্র থাকবে। বিরোধীদের জন্য থাকবে নানা বিধিনিষেধ।’’ সাসপেনশনের সিদ্ধান্তকে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের দাদাগিরি’ বলেও আক্রমণ শানিয়েছিলেন অধীর। তাঁর কথায়, ‘‘শুধু প্রহ্লাদ জোশী কেন, বিজেপির সব নেতা মিলে যদি আমার একটা শব্দ, একটা ব্যাখ্যা মানুষের বিচারে ‘ভুল’ প্রমাণ করতে পারেন, তবে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’