Lalu Prasad Yadav

‘অতিসক্রিয় সিবিআই’? পশুখাদ্য মামলায় দোষী লালুর জামিন বাতিলের আবেদন সুপ্রিম কোর্টে

বিহারে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় পাঁচ বছর জেলের সাজাপ্রাপ্ত লালুকে ২০২২ সালের এপ্রিলে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট জামিনে জেল থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৩ ১৪:২৫
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

পশুখাদ্য দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদকে ফের জেলে পাঠাতে সক্রিয় হল সিবিআই। আরজেডি প্রধান লালুর জামিন বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে।

Advertisement

বিহারে নব্বইয়ের দশকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় পাঁচ বছর জেলের সাজাপ্রাপ্ত লালুকে স্বাস্থ্যের কারণে ২০২২ সালের এপ্রিলে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট জামিনে জেল থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তকে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে ১৩৯ কোটি টাকার-ও বেশি টাকা তছরুপের অভিযোগে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে লালুকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠিয়েছিল রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত।

এর আগে ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে অন্য দু’টি পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। তাঁকে মোট ১৪ বছর কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছিল এবং ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তবে দু’বারই তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বিহারে ‘ইন্ডিয়া’-কে বিপাকে ফেলতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার এই ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত, দুমকা ট্রেজারি মামলায় লালুকে ১৪ বছরের জেলের সাজা দেওয়া বিচারক শিবপাল সিংহ রায় ঘোষণার কিছু দিন পরে বিয়ে করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের দাপুটে বিজেপি নেত্রী নূতন তিওয়ারিকে। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement