নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তির উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পূর্ণাবয়াব মূর্তির হলোগ্রাম উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি এই মূর্তি উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। পরবর্তীকালে ইন্ডিয়া গেটে গ্রানাইট দিয়ে তৈরি নেতাজির মূর্তি স্থাপিত হবে।
রবিবার মূর্তি উন্মোচনের পর মোদী বলেন, “ভারত মাতার বীর সন্তান নেতাজিকে কোটি কোটি প্রণাম। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই মূর্তি স্বাধীনতার নায়কের প্রতি দেশের শ্রদ্ধাঞ্জলি।” স্বাধীন ভারতের স্বপ্নপূরণ এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “পৃথিবীর কোনও শক্তি সেই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্য আটকাবে।”
নেতাজি দেশভক্তির প্রতীক বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ নেতাজি আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে শিখিয়েছেন। স্বাধীন, অসাম্প্রদায়িক ভারতের বিশ্বাস জুগিয়েছিলেন।”
তাঁর কথায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বিষয়টি উঠে এসেছে। কী ভাবে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে ঢেলে সাজা হয়েছে তারও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “সারা দেশে এই বাহিনীকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেন এই সদস্যরা। দেশের নানা বিপর্যয়ে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে এরা উদ্ধার এবং বাঁচানোর কাজ করে।”
মোদী আরও বলেন, “বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী শক্তিশালী হওয়ার কারণে আজ করোনার সঙ্গে লড়াই করা সহজ হয়েছে। বাংলা, ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ছে। কিন্তু বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দক্ষতার কারণেই বহু জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।”
এর আগে একটি টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘোষণা করেন গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি হতে চলেছে নেতাজির মূর্তি। সেই টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘সমগ্র দেশ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করছে। আমি জানাতে চাই, ইন্ডিয়া গেটে গ্রানাইট দিয়ে তৈরি নেতাজির বিশাল মূর্তি স্থাপিত হবে। দেশ যে ভাবে তাঁর কাছে ঋণী, তারই প্রতীক হিসেবে তৈরি হতে চলেছে এই মূর্তি।’’ ইন্ডিয়া গেটে সুভাষচন্দ্র বসুর পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নেতাজি-কন্যা অনিতা বসু পাফ।
দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলার নেতাজি-ট্যাবলো বাতিল করা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে চাপানউতর তৈরি হয়। সেই সময়ই এই মূর্তি বসানোর ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।