Narendra Modi

মন্দির তাসে দাগ না-লাগে, বার্তা মোদীর

উঠেছে। রামমন্দিরের ট্রাস্টে মোদী সরকারের নিযুক্ত আরএসএস নেতা ও স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মন্দিরের জন্য তোলা চাঁদার অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২১ ০৬:৩৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত

অযোধ্যায় রামমন্দিরের জন্য জমি কেনাবেচায় বড় মাপের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। রামমন্দিরের ট্রাস্টে মোদী সরকারের নিযুক্ত আরএসএস নেতা ও স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মন্দিরের জন্য তোলা চাঁদার অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি-র ‘তুরুপের তাস’ রামমন্দিরকে বিরোধীরাই হাতিয়ার করে ফেলছে দেখে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই মাঠে নামলেন।

Advertisement

এই রামমন্দিরের কাজের অগ্রগতিকেই ২০২২-এ উত্তরপ্রদেশের ভোটে অন্যতম হাতিয়ার করতে চায় বিজেপি। সেই ভোটের ফল প্রভাব ফেলবে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটেও। অযোধ্যার রামন্দির প্রসঙ্গে তাই কোনও বিরূপ আবহ তৈরি হোক, এটা একেবারেই চাইছেন না মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মোদী আজ তাই যোগী ও রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে অযোধ্যার সার্বিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখলেন।

সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, মন্দির ঘিরে অযোধ্যায় উন্নয়নের কাজে যে তিনি স্বয়ং নজরদারি করছেন এবং কোনও রকম অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না, প্রধানমন্ত্রী কার্যত সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন আজ। অযোধ্যায় নতুন শহর ও বিমানবন্দর গড়া, রেল স্টেশনের সম্প্রসারণের মতো যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরিতে আগামী দিনে কাজকর্ম চলতে থাকবে। বিজেপি-আরএসএসের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি, আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ উঠলে বিজেপিকেই তার খেসারত দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজে সমস্ত কাজের পর্যালোচনা করে তাই গোটা উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনকেই সতর্ক করে দিয়েছেন। বৈঠকে যোগী ছাড়া রাজ্যের দুই উপমুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, মোদী বৈঠকে বলেছেন, “অযোধ্যা দেশের সকলের সাংস্কৃতিক চেতনায় রয়েছে। এই শহরকে এমন ভাবে ঢেলে সাজাতে হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম জীবনে এক বার অন্তত অযোধ্যা যেতে চায়। পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের সুবিধায় ভবিষ্যৎমুখী পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।” কেন্দ্রের মোদী সরকার ও রাজ্যের যোগী সরকার মিলে অযোধ্যাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র, আধ্যাত্মিক কেন্দ্র ও স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়তে চাইছে। বৈঠকে অযোধ্যায় নতুন শহর নিয়েও কথা হয়। অযোধ্যার ২০৫১-এর জন্য ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ অনুযায়ী, এই নতুন শহরে আশ্রম, মঠ, হোটেল, বিভিন্ন রাজ্যের অতিথিশালা থাকবে। একটি বিশ্ব মানের জাদুঘরও তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রভু রামের মানুষকে একজোট করার ক্ষমতা ছিল। অযোধ্যার উন্নয়নেও সে ভাবে মানুষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement