পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য ওড়িশার ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষকেরা। ফাইল চিত্র।
পাকা চাকরি, পেনশন এবং বেতন বৃদ্ধি এই তিন দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন প্রায় দেড় লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক। সেই ধর্নার অনুমতিই দিল না রাজ্যের প্রশাসন। বদলে নোটিস জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল যে তিন দিন ধর্নায় বসার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে একদিনও যদি কোনও শিক্ষক স্কুলে ছুটি নেন বা উপস্থিত না হন তবে তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য ওড়িশার ঘটনা। ওড়িশার বিজেডি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে রাজধানী ভুবনেশ্বরে তিন দিনের ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষকেরা। তাঁদের মূলত তিনটি— প্রথমত, সহকারী শিক্ষক হিসাবে যাঁরা দেড় হাজার টাকার বেতনে কাজে যোগ দিয়েছিলেন, ছ’বছর চাকরি করার পর তাঁদের চাকরি পাকা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন পেনশন প্রকল্পের বদলে পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনা হোক। তৃতীয়ত, কেন্দ্রীয় বেতন পরিকাঠামো অনুযায়ী বেতন দিতে হবে প্রাথমিকের শিক্ষকদের। এই তিন দফা দাবিতে তিন দিনের ধর্নার অনুমতি চেয়েছিলেন প্রাথমিকের দেড় লক্ষ শিক্ষক। নবীনের সরকার সেই অনুমতি তো দেয়ইনি বরং প্রাথমিক শিক্ষকেরা যাতে ওই তিন দিন কোনও ভাবেই ছুটি নিতে না পারেন তার ব্যবস্থা পাকা করেছে।
সম্প্রতিই, পশ্চিমবঙ্গে ডিএর দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলির ধর্মঘটে যাতে কর্মদিবস নষ্ট না হয়, সে জন্য কিছুটা একই ধরনের পদক্ষেপ করেছিল রাজ্য সরকার। স্কুল-সহ সরকারী কর্মীদের সংগঠনগুলি যাতে কোনও ভাবেই ধর্মঘটের নির্ধারিত দিনে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে ছুটি নিতে না পারেন, তার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার জানিয়েছিল, চারটি শর্তেই একমাত্র সরকারি কর্মীরা ছুটি পেতে পারেন। তার বাইরে কেউ ছুটি নিলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে নির্দিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে। ওড়িশার বিজেডি সরকারও আন্দোলনরত প্রাথিমক শিক্ষকদের থামাতে সেই একই পদক্ষেপ করেছে।