ভোটের মুখে বাড়ল আখের দাম ফাইল চিত্র
ভোটের মুখে আখের নাম! থুড়ি, আখের দাম।
গত তিন বছর উত্তরপ্রদেশ সরকার আখের দাম বাড়ায়নি। তা নিয়ে আখচাষিদের ক্ষোভ ছিলই। তাকে উস্কে দিতে সক্রিয় হয়েছিলেন এসপি নেতা অখিলেশ যাদব, কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরারা। এই অবস্থায় বুধবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানালেন, আখের দাম বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে তাঁর সরকার।
যোগীর এই ঘোষণার ঠিক আগেই আজ মোদী সরকার প্রতি কুইন্টাল আখের ন্যূনতম দাম বাড়িয়ে বেঁধে দিয়েছে ২৯০ টাকায়। অর্থাৎ, চিনিকলগুলিকে চাষিদের কাছ থেকে আখ কিনতে হলে, অন্তত এই দাম দিতে হবে। বিজেপির আশা, তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির সীমান্তে আন্দোলনরত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের চাষিদের ক্ষোভ এতে কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ৫ কোটি আখচাষি ও চিনিকলে কর্মরত ৫ লক্ষ কর্মী উপকৃত হবেন। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধারণা অনেকের। গত মরসুমের তুলনায় কেন্দ্র কুইন্টাল পিছু ন্যূনতম দর মাত্র ৫ টাকা বাড়ালেও, মোদী সরকারের দাবি, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের মতো যে সব রাজ্যে প্রচুর আখ চাষ হয়, সেখানে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের তুলনায় বেশি হারে দাম বেঁধে দেয়। ফলে চাষিরা এর থেকে বেশি দামই পাবেন।
গত কাল ভোটমুখী পঞ্জাবে কংগ্রেস সরকার আখের দাম বাড়িয়ে কুইন্টালে ৩৬০ টাকা করেছে। এর জেরে যোগী সরকারের উপরেও দাম বৃদ্ধির চাপ তৈরি হয়। কারণ, তিন বছর ধরে যোগী-রাজ্যে আখের দাম ৩১৫ টাকাই রয়েছে। প্রিয়ঙ্কা এ দিন সকালে বলেন, পঞ্জাবে কংগ্রেস সরকার আখের দাম বাড়িয়ে ৩৬০ টাকা করেছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার ৪০০ টাকা দরের প্রতিশ্রুতি দিয়েও, তিন বছর দাম বাড়ায়নি।
এমনিতেই উত্তরপ্রদেশে আখচাষিদের বকেয়া নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের অবশ্য যুক্তি, উত্তরপ্রদেশে ২০১৯-২০ পর্যন্ত সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি মরসুমে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত ২৭ হাজার কোটি টাকাও দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরে আজ ইন্ডিয়ান সুগার মিল অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, চিনির সহায়ক মূল্যও বাড়ানো হোক। তা হলে চিনিকল মালিকদেরও চাষিদের আখের জন্য বেশি দাম দিতে সুবিধা হবে। অভিযোগ, আড়াই বছরে সরকার চিনির দাম বাড়ায়নি।
গয়াল স্পষ্ট জানিয়েছেন, তার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে চিনিকলগুলিকে রফতানির ক্ষেত্রে নানা রকম সুবিধা দেওয়া হয়েছে।