নৃত্যগোপাল দাস।
বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় অভিযুক্ত নৃত্যগোপাল দাসকে প্রথমে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের ট্রাস্টে রাখেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু সে কাজটিই আজ ঘুরপথে করা হল ট্রাস্টের মাধ্যমে। নৃত্যগোপালকেই আনা হল ট্রাস্টের সভাপতি হিসেবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নৃপেন্দ্র মিশ্রকে ‘ভবন নির্মাণ সমিতি’র চেয়ারম্যান করার মাধ্যমে মন্দির নির্মাণের পুরো রাশটিই বকলমে নিজের হাতে রাখলেন মোদী।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র’ নামে একটি ট্রাস্ট ঘোষণা দিল্লি ভোটের আগেই করেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লিতে প্রবীণ আইনজীবী কে পরাশরনের বাড়িতে আজ তার প্রথম বৈঠক হয়। নৃত্যগোপাল দাস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের চম্পত রাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা চলার ফলে সুকৌশলে তাঁদের ট্রাস্টে না রেখে দু’টি পদ খালি রাখা হয়েছিল। আজ প্রথম বৈঠকে এই দু’জনকেই সদস্যপদ দিয়ে নৃত্যগোপালকে সভাপতি, চম্পত রাইকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা টুইট করে এঁদের অভিনন্দন জানান। প্রস্তাবিত মন্দিরের উচ্চতা ও প্রস্থ বাড়ানোর কথা বলেছেন নৃত্যগোপাল। গোবিন্দদেব গিরি কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন। পেজাবর স্বামী আজ প্রথম ৫ লক্ষ টাকা কোষাধ্যক্ষের হাতে তুলে দেন। বৈঠকের পরে একাধিক সদস্য জানান, রামনবমীর দিন থেকে মন্দিরের কাজ শুরু হওয়া সম্ভব নয়। নৃপেন্দ্র মিশ্রের কমিটির রিপোর্ট এলেই ঠিক হবে, কবে কাজ শুরু হবে।