(বাঁ দিকে) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি এক্স (সাবেক টুইটার)
লালকৃষ্ণ আডবাণী যে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন পাচ্ছেন তা প্রথম ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সেই সম্মান আডবাণীর হাতে তুলে দিতে গেলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আডবাণীর বাসভবনে গিয়ে তাঁর হাতে ‘ভারতরত্ন’ তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। অসুস্থতার কারণে আডবাণী শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
আডবাণীকে ভারতরত্ন সম্মান তুলে দেওয়ার খবর জানানো হয় রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে। রাষ্ট্রপতি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘আডবাণীজি দীর্ঘ সাত দশক ধরে নিষ্ঠা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে দেশসেবা করেছেন।’’
রাষ্ট্রপতির পোস্টে আরও বলা হয়, ‘‘১৯২৭ সালে করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন আডবাণীজি। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় ভারতে চলে আসেন। ভারতের সমাজ এবং রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। সংসদীয় রাজনীতিতেও তাঁর পাণ্ডিত্য ভারতের সংসদকে সমৃদ্ধ করেছে।’’
উল্লেখ্য, তিন দশক আগে দেশে রামমন্দির আন্দোলনের সময়ে সঙ্ঘ পরিবারের ‘মুখ’ ছিলেন আডবাণী। তাঁর রামরথ যাত্রায় ভর করে হিন্দি বলয়ে উত্থান হয়েছিল বিজেপির। দেশে প্রথম রামরথ ছুটিয়েছিলেন আডবাণীই। ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন আডবাণী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আমি ভারতরত্ন গ্রহণ করছি। ব্যক্তিগত ভাবে মানুষ হিসাবে এটা আমার সম্মান নয়, বরং এটা আমার নীতি, আদর্শের সম্মান। সারা জীবন ধরে যে আদর্শ আমি মেনে চলার চেষ্টা করেছি।’’ রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে আডবাণীকে ভারতরত্ন দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল কংগ্রেসও।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯০, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ এবং ২০০৪ থেকে ২০০৫— তিন দফায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন আডবাণী। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ওই সরকারেই কয়লামন্ত্রীও ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন বিজেপির এই প্রবীণ নেতা।