ভারত মহাসাগরে ঢুকে পড়া চিনা রণতরী। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
দিল্লির অনুমতি না নিয়ে সম্প্রতি ঢুকে পড়েছিল ‘শি ইয়ান ১’ নামে একটি চিনা জাহাজ। পিছু তাড়া করে নৌবাহিনী সেটিকে এলাকাছাড়া করেছে। আগামী কাল নৌবাহিনী দিবস উদ্যাপনের প্রাক্কালে মঙ্গলবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিংহ এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরে উত্তরোত্তর উপস্থিতি বাড়াচ্ছে চিন। আচমকা ঢুকে পড়ছে চিনা জাহাজ। সীমানা লঙ্ঘন করে ঢুকে পড়ছে রণতরীও। গোপনে ঢুকে পড়ছে চিনের সাবমেরিন। ভারত মহাসাগরের অর্থনৈতিক জোনের কাছাকাছি এলাকায় গড়ে সাত থেকে আটটি চিনা জাহাজ ঘোরাফেরা করছে। ভারত সেগুলির উপর কড়া নজর রাখছে। করমবীর বলেছেন, ‘‘২০০৮ সাল থেকেই ভারত মহাসাগরে উত্তরোত্তর চিনের উপস্থিতি বাড়ছে। আমরা নজর রাখছি।’’
ভারত মহাসাগরে কেন ঢুকে পড়ছে চিনা জাহাজগুলি?
নৌসেনা প্রধান বলেছেন, ‘‘নানাবিধ উদ্দেশে। কখনও সমুদ্র সংক্রান্ত গবেষণার জন্য। কখনও বা সামুদ্রিক সম্পদের অনুসন্ধান অথবা উত্তোলনের জন্য। কখনও জলদস্যু দমন অভিযানে।’’
দিল্লির অনুমতি না নিয়ে ঢুকে পড়েছিল বলে ‘শি ইয়ান ১’ নামে এমনই একটি চিনা জাহাজকে পিছু তাড়া করে ভারত মহাসাগরে ভারতের এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌসেনা প্রধান।
আরও পড়ুন- ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও ‘নির্বলা’ মন্তব্যে ক্ষমা চাইতে হবে অধীরকে, সংসদে শোরগোল বিজেপির
আরও পড়ুন- ভারত মহাসাগরে সাত চিনা যুদ্ধজাহাজ, নৌবাহিনীর নজরদার বিমানে ধরা পড়ল ছবি
তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের অজানা নেই ভারত মহাসাগর নিয়ে যথেষ্টই আগ্রহ রয়েছে পাকিস্তানের। পাক অভিসন্ধির কথাও আমরা জানি। ভারত মহাসাগর দিয়ে যে সন্ত্রাসবাদীরা ভারতে ঢোকার ফন্দি এঁটেছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছ থেকে সেই খবরও আমরা পেয়েছি। প্রতিরোধের যথাযথ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।’’
করমবীর জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরে কড়া নজরদারির জন্য বাহিনীতে তিনটি নতুন ‘মিগ-২৯-কে’ যুদ্ধবিমান আনা হচ্ছে। সেগুলি ২০২২ সাল থেকেই কাজে নেমে পড়বে।