Maharashtra

গ্রামে পাকা রাস্তা নেই, চাদরে শুইয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে গিয়ে পথেই প্রসব, মৃত সদ্যোজাত

গ্রামবাসীরাই চাদরে শুইয়ে পাহাড়ি পথ ধরে ওই প্রসূতিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথের মধ্যেই সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। তাঁর সদ্যোজাত সন্তানটি মারা যায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

মুম্বাই শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৪৬
Share:

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দর্শনা ফারালকে - ভিডিয়ো থেকে প্রাপ্ত ছবি।

দীর্ঘ দিন ধরে গ্রামবাসীরা দাবি জানিয়ে এলেও গ্রামে চলাচলের উপযোগী কোনও রাস্তা নে‌ই। তাই মহারাষ্ট্রের ধামিপাড়া অঞ্চলের ধিগাসি গ্রামের দলিত মহিলা দর্শনা ফারালের প্রসবকালীন যন্ত্রণা শুরু হলে তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন তাঁর পরিবার-পরিজন। কিন্তু গ্রাম থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। পায়ে হাঁটার রাস্তাটুকুও নেই। তাই গ্রামবাসীরাই চাদরে শুইয়ে পাহাড়ি পথ ধরে তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথের মধ্যেই সন্তানের জন্ম দেন ওই রমণী। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে তাঁর সদ্যোজাত সন্তানটি মারা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে ১ সেপ্টেম্বর।

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসীর কথায়, “প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছতে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট লেগে যায়। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছিলাম পাহাড়ি কাদাভরা রাস্তা দিয়ে গিয়ে দর্শনাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে। তাই বাড়ির বিছানার চাদর নিয়েই আমরা কয়েক জন ওকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পথের মধ্যেই বিপদ ঘটে গেল।”

আর এক গ্রামবাসী পরিচয় প্রকাশ্যে না আনার শর্তে জানান, দশ বছর ধরে তাঁরা গ্রামে একটা পাকা রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানালেও তাদের তরফে কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। ওই গ্রামবাসীর অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে রাস্তায় সন্তান প্রসবের খবর জানানো হলেও কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীকে পাঠানো হয়নি।

Advertisement

স্থানীয় স্বাস্থ্য-প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লেও এখন ভাল আছেন ওই রমণী। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর বাড়ি গিয়ে প্রসব-পরবর্তী চিকিৎসা করেন। তবে সদ্যোজাত সন্তানকে হারিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, গ্রামে পাকা রাস্তা না হলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বহু মানুষের প্রাণসংশয় হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement