GST

GST: প্যাকেটের মুড়ি, আটা, চাল, ডালেও এ বার জিএসটি, ১৮ শতাংশ কর বসছে চেকবইতেও

জিএসটি ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার থেকে চণ্ডীগড়ে শুরু হয়েছে পরিষদের দু’দিন ব্যাপী বৈঠক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২২ ০৫:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি

বেশ কিছু পণ্যের উপর থেকে কর ছাড়ের সুবিধা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেছিল রাজ্যগুলির মন্ত্রিগোষ্ঠী। মঙ্গলবার জিএসটি পরিষদ তার অনেকগুলিতেই সায় দিল। মাছ, মাংস (বরফে রাখা বাদে), দই, পনির, চাল, ডাল, আটা, গুড়, মধু, মুড়ির মতো গোড়া থেকেই প্যাকেটবন্দি এবং লেবেল সাঁটা পণ্যে বসানো হল ৫% জিএসটি। চেকবই ইস্যু করতে ব্যাঙ্কগুলি যে ফি নেয়, তাতেও মেটাতে হবে ১৮% কর।

Advertisement

জিএসটি ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার থেকে চণ্ডীগড়ে শুরু হয়েছে পরিষদের দু’দিন ব্যাপী বৈঠক। সেখানে এ দিন ১২% করের আওতায় আনা হয়েছে হোটেলে দৈনিক ১০০০ টাকার কম ঘর ভাড়া, মানচিত্র ও চার্টকেও। এগুলি এত দিন কর ছাড়ের সুবিধা ভোগ করত। তবে মোড়ক, লেবেল এবং ব্র্যান্ড নাম ছাড়া যে সব পণ্য বিক্রি হয় সেগুলিতে ছাড় বহাল।

এ দিন পরিষদ কর কাঠামো সংশোধনের সুপারিশ করেছে এলইডি আলো, ভোজ্য তেল, আঁকার এবং ছাপার কালি, পণ্য তৈরির চামড়া, সোলার ওয়াটার হিটারের মতো পণ্যের ক্ষেত্রে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এর ফলে আগামী দিনে ওই সব জিনিসেও জিএসটির হার বাড়তে পারে।

Advertisement

এ বারের বৈঠক রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নে উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এই অভিন্ন পরোক্ষ কর ব্যবস্থা চালুর সময় মোদী সরকার সমস্ত রাজ্যকে কথা দিয়েছিল, তা আদায়ের ক্ষেত্রে তাদের ঘাটতি মেটাতে পাঁচ বছর ক্ষতিপূরণ দেবে তারা। চলতি মাসেই ফুরোচ্ছে সেই সময়সীমা। কেন্দ্রের যুক্তি, এর মেয়াদ আরও বাড়ানোর মতো আর্থিক ক্ষমতা তাদের নেই। কিন্তু বিরোধী রাজ্যগুলির দাবি, জিএসটি আদায়ে এখনও ঘাটতি হচ্ছে তাদের। ফলে ক্ষতিপূরণের মেয়াদ বাড়ানো হোক। সে ব্যাপারে আলোচনা হবে বুধবার। সেই সঙ্গে ঘোড়দৌড়, জুয়া খেলা (ক্যাসিনো) এবং অনলাইনে খেলার উপরে ২৮% কর বসানোর প্রস্তাবও উঠবে।

সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময়সীমা বাড়াতে অনুরোধ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। এ দিন তিনি বৈঠকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি দেন নির্মলাকে। বলেন, সিদ্ধান্তগুলি যেন সংখ্যার জোরে নয়, সর্বসম্মত ভাবে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ের কথাও। যেখানে বলা হয়েছিল, আইনত জিএসটি পরিষদের সিদ্ধান্ত রাজ্যগুলি মানতে বাধ্য নয়। এ ব্যাপারে কেন্দ্র এবং রাজ্য, দু’পক্ষই আইন তৈরি করতে পারে। তবে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সকলে যাতে পরিষদের সিদ্ধান্ত মেনে চলে, সেই চেষ্টা করা হয়। তাই তাদের উচিত সকলের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে তাদের সিদ্ধান্ত যাতে সর্বসম্মত ভাবে মেনে চলা হয়, তা নিশ্চিত করা।

ক্ষতিপূরণ চালানোর পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের মতো বিজেপি বিরোধী রাজ্যের এটাও দাবি, রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে জিএসটির ভাগ বাড়িয়ে ৭০-৮০ শতাংশ করুক কেন্দ্র। এখন তা ৫০%।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement