জলমগ্ন পুণে। ছবি: এক্স।
বর্ষার এখনও দেখা নেই। কিন্তু প্রাক্-বর্ষার বৃষ্টিতেই বিপর্যস্ত পুণে এবং মুম্বই। শনিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয় এই দুই শহরে। মাত্র তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে ৩৩ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে পুণেতে।
রাজ্যের আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শিবাজিনগরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তিন ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ১০১.৭ মিলিমিটার। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে এই বৃষ্টি হয়েছে। শিবাজিনগর ছাড়াও বৃষ্টি হয়েছে বানের এবং ওয়ারগাঁওয়ে ৫৬.৮ এবং ৬১.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে, লোহেগাঁওয়ে বৃষ্টি হয়েছে ১১৫.৬ মিলিমিটার।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, জুন মাসে শিবাজিনগরে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ থাকে ১৮৩.৯ মিলিমিটারের মধ্যে। কিন্তু প্রাক্-বর্ষাতেই সেই পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে। জুনের শুরু থেকে শনিবার পর্যন্ত হওয়া মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৯৩.৮ মিলিমিটার। তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহর পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। জলমগ্ন হয়ে পড়ে ধানোরি, নগর রোড, কোথরুর, সিংগড় রোড, ভবানি পেঠ এবং পদ্মাবতী এলাকা। ভারী বৃষ্টির জেরে ট্রেন পরিষেবা এবং লোহেগাঁও বিমানবন্দরের প্রভাব পড়ে। ২০টি বিমান দেরিতে ওঠানামা করে।
অন্য দিকে, ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বইয়ের অধিকাংশ এলাকা। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটুসমান, কোথাও গোড়ালিসমান জল দাঁড়িয়ে যায়। দহিসার, ঘোরবন্দরের মতো এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বর্ষা কাছাকাছি চলে এসেছে। তারই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। একই সঙ্গে রবিবার থেকে আগামী দু’তিন দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।