উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আতিক আহমেদের ছেলে আলি আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত।
এর পর কার পালা? পুলিশের পরবর্তী লক্ষ্য কে? জেলে বসেই রক্ষীদেরজে দিনভর একটাই প্রশ্ন করে চলেছেন উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আতিক আহমেদের ছেলে আলি আহমেদ। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের নৈনী সেন্ট্রাল জেলে বন্দি আলি। জেলের এক সূত্রের খবর, উমেশ হত্যাকাণ্ডে পুলিশের গুলিতে দুই দুষ্কৃতীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছেন আলি। তাঁর পাহারায় থাকা রক্ষীদের বার বারই নাকি জিজ্ঞাসা করছেন, “এ বার কাকে মারা হবে?”
ওই সূত্রের খবর, দুই দুষ্কৃতীর মৃত্যুর পর থেকেই আলির মনের মধ্যেও ‘এনকাউন্টার’-এর ভয় ঢুকে গিয়েছে। জেল সূত্রে খবর, দুষ্কৃতী উসমানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন আলি। তিন দিন ধরে জলও কম খাচ্ছেন। একটা অস্থিরতা লক্ষ করা যাচ্ছে তাঁর মধ্যে। আচমকাই ঘুম থেকে উঠে পায়চারি করা শুরু করছেন। আলির আশঙ্কা, জেল বদলানোর নামে তাঁকে বার করে নিয়ে গিয়ে হয়তো গুলি করে মারা হবে। তাই উমেশ হত্যাকাণ্ডের প্রতিটি খবরের আপডেট বার বার রক্ষীদের কাছে জানতে চাইছেন বলে জেলের ওই সূত্রের দাবি।
আলিকে যে ব্যারাকে রাখা হয়েছে সেখানে ৩০ জন কয়েদি রয়েছেন। কিন্তু আলিকে একটি সেলে একাই রাখা হয়েছে। তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখতে একাধিক ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এক প্রোমোটারের কাছে ৫ কোটি টাকা তোলাবাজির মামলায় গত বছরের ৩০ জুলাই প্রয়াগরাজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন আলি। সেই সময় থেকেই নৈনী জেলে বন্দি তিনি।
বিধায়ক রাজু পাল খুনের মূল সাক্ষী উমেশ পাল খুন হন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। বাড়ির সামনেই তাঁকে গুলি করে বোমা মেরে খুন করা হয়েছিল। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর দুই দেহরক্ষীরও। এই ঘটনায় আতিক আহমেদ, তাঁর দুই ছেলে এবং ভাই আশরফের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে।