Mumbai Ferry Accident

‘ছিল না লাইফ জ্যাকেট’! মুম্বইয়ে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যুর পর চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

বুধবার গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে এলিফ্যান্টা গুহা যাওয়ার সময় একটি লঞ্চে ধাক্কা মারে নৌসেনার একটি স্পিডবোট। ধাক্কার অভিঘাতে উল্টে যায় লঞ্চটি। মৃত্যু হয় মোট ১৩ জনের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:০৯
Share:

দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই লঞ্চ। বুধবার মুম্বই সংলগ্ন আরব সাগরে। ছবি: পিটিআই।

মুম্বইয়ে আরব সাগরের উপরে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যুর পরে চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। মৃত্যুর মুখ থেকে কোনও রকমে বেঁচে ফেরা যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, লঞ্চে লাইফ জ্যাকেট ছিল না। দুর্ঘটনার পর নাকি জলে জ্যাকেট ফেলা হয়। পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট থাকলে ১৩ জনের মৃত্যু এড়ানো যেত বলে ওই যাত্রীদের দাবি। চালকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। মুম্বইয়ের বাসিন্দা এক যাত্রী থানায় লঞ্চের চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

বুধবার বিকেল ৩টে ৫৫ মিনিটে মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে এলিফ্যান্টা গুহা যাওয়ার সময়ে ‘নীলকমল’ নামের একটি লঞ্চে ধাক্কা মারে নৌসেনার একটি স্পিডবোট। ধাক্কার অভিঘাতে উল্টে যায় লঞ্চটি। দুর্ঘটনার পর ১০১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। গুরুতর জখম হন দু’জন। মৃত্যু হয় মোট ১৩ জনের।

দুর্ঘটনার পরে নৌসেনার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, স্পিডবোটের ইঞ্জিনটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারায় সেটি। তার পরেই লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সেটির। উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা গৌতম গুপ্ত পরিবারের সঙ্গে মুম্বই বেড়াতে গিয়েছিলেন। বুধবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত লঞ্চে ছিলেন তিনিও। এই দুর্ঘটনায় নিজের কাকিমাকে হারিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “লঞ্চে কোনও যাত্রীর জন্য লাইফ জ্যাকেট ছিল না। দুর্ঘটনার পর আমি বহু মানুষকে জল থেকে টেনে লঞ্চে তুলি। ২০-২৫ মিনিট পরে আমাদের উদ্ধার করে নৌসেনা। কিন্তু তত ক্ষণে আমার কাকিমা মারা গিয়েছেন।”

Advertisement

ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement