ফাইল ছবি।
শেষ তিন দিনে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে লাগাতার বৈঠক চলছে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)-এর। সোমবার আবারও তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সনিয়া ছাড়াও হাজির ছিলেন তাঁর কন্যা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢড়া-সহ কংগ্রেসের অন্য শীর্ষ নেতারা। পিকে কি তবে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন? এই গুঞ্জনের মধ্যেই কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে তাঁর একাধিক বার বৈঠক সেই জল্পনাতেই অক্সিজেন জোগাচ্ছে।
শনিবার যখন সনিয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন পিকে, তখন ‘মিশন ২০২৪’ নিয়ে সবিস্তার পরিকল্পনার কথা তিনি জানিয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, সোমবারের বৈঠকে গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোট নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। এ ছাড়া আগামী বছর কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের বিধানসভা ভোট নিয়েও পরিকল্পনা খোলসা করেন পিকে। তাঁর সঙ্গে বৈঠকের ঠিক আগে প্রিয়ঙ্কা, মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সিংহ সূরযেওয়ালা, কেসি বেণুগোপাল এবং অম্বিকা সোনির সঙ্গে বৈঠক করেন সনিয়া। তার পর সনিয়া ওই নেতাদের সঙ্গে নিয়েই বসেন পিকের সঙ্গে। ওই নেতারা সনিয়াকে এক সপ্তাহের মধ্যে পিকের পরিকল্পনা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য সম্বলিত রিপোর্ট দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের দাবি, পিকে পরামর্শ দিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ওড়িশায় একক ভাবে এবং তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রে জোট গ়ড়ে এগোনো উচিত কংগ্রেসের। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, রাহুল গাঁধীও পিকের এই পরামর্শকে সঠিক বলে মনে করেন। সূত্রের খবর, পিকের প্রস্তাবে সায় দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের কাছে এ মাসের শেষ পর্যন্ত সময় আছে। পিকের বক্তব্যের মূল নির্যাস, আগামী লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ৩৭০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত। বাকি আসনগুলির ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যে উচিত জোট বাঁধা।
প্রথম বার পিকে-কংগ্রেস আলোচনা মুখ থুবড়ে পড়ার পর যে ভাবে ফের নতুন করে তা গতি পেয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে, এ বার হয়তো ভোট কুশলী প্রশান্তের পাকাপাকি ভাবে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পথ আরও একটু চওড়া হল। যদিও এখনও যোগদানের বিষয় নিয়ে কংগ্রেস বা পিকে— কারও তরফেই কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।