Prashant Kishor Health Update

আইসিইউ-তে পিকে! সোম সকালে ‘আমরণ’ অনশনে বসে গ্রেফতার, বিকেলে জামিন, রাতে হাসপাতালে

বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তা বাতিলের দাবিতে রবিবার রাতে পটনায় গান্ধী ময়দানে ‘আমরণ’ অনশনে বসেছিলেন পিকে। সোমবার ভোরে আটক হন। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫১
Share:

প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।

অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রাক্তন ভোটকুশলী তথা জন সুরাজ দলের নেতা প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। সোমবার রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পিকে-কে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। ‘অবৈধ ভাবে’ পটনার গান্ধী ময়দানে ‘আমরণ’ অনশনে বসার অভিযোগে সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরে গ্রেফতার করা হয় পিকে-কে। বিকেলে আদালত তাঁকে ‘নিঃর্শত’ জামিন দেয়। রাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন ভোটকুশলী।

Advertisement

বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তা বাতিলের দাবিতে রবিবার রাতে পটনায় গান্ধী ময়দানে ‘আমরণ’ অনশনে বসেছিলেন পিকে। কিন্তু সোমবার সকাল হওয়ার আগেই অনশনমঞ্চ থেকেই তাঁকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযোগ, পটনা হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে অনশনে বসেছিলেন পিকে। পটনা পুলিশের বক্তব্য, অশান্তি বাধানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের হওয়ায় পিকে-কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর পিকে-র স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে দুপুর নাগাদ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক আরতি উপাধ্যায় ২৫ হাজার টাকার বন্ডে তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে বিচারক পিকে-কে এ-ও শর্ত দেন ভবিষ্যতে এই রকম প্রতিবাদে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। কিন্তু ধৃত পিকে এবং তাঁর আইনজীবী জামিনের বন্ডে সই করতে অস্বীকার করায় সোমবার বিকেলে তাঁকে পটনার জেলে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু, এর পর বিচারক উপধ্যায়ের এজলাসে নিঃশর্ত জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন পিকের আইনজীবী। প্রথমে রাজি না হলেও পরে বিচারক পিকে-কে বিনা শর্তে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালত থেকে বেরিয়ে পিকে জানান, পটনার গান্ধী ময়দানে অবস্থান-বিক্ষোভ জারি রাখবেন তিনি। তবে রাতে অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় পিকে-কে।

Advertisement

বিপিএসসিতে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে প্রথম দিন থেকে সরব পিকে। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই বিহারের চাকরির পরীক্ষাগুলিতে কারচুপি চলছে। কিন্তু সরকার নিরুত্তাপ। রাজ্যের অনেক শিক্ষাবিদ এবং বিরোধী রাজনীতিকেরাও চাকরিপ্রার্থীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন। পিকে-র বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের অনুমতি না-থাকা সত্ত্বেও গান্ধী ময়দানে জমায়েত করেছিলেন পিকে। বিক্ষোভে উস্কানিও দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ মামলা রুজু করলেও পিকে চুপ করেননি। বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement