Prajwal Revanna

তদন্তে সহযোগিতা করছেন না রেভান্না? দিয়ে যাচ্ছেন একই উত্তর, অন্য পন্থা নিচ্ছেন আধিকারিকেরা

বৃহস্পতিবার রাতে রেভান্নাকে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি সিটের হেফাজতে। শুক্রবার থেকে তাঁকে জেরা শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৪ ১২:৩৯
Share:

কর্নাটকের বিদায়ী সাংসদ প্রজ্বল রেভান্না। —ফাইল চিত্র।

কর্নাটকের হাসনের বিদায়ী সাংসদ তথা সাসপেন্ডেড জেডিএস নেতা প্রজ্বল রেভান্না তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলির তদন্ত করছে কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। অভিযোগ, তিনি সিটের আধিকারিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। একই ধরনের উত্তর দিয়ে চলেছেন বার বার। কিছুতেই মুখ খোলানো যাচ্ছে না তাঁর। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, প্রজ্বলের মামলায় এ বার অন্য পন্থা নিতে চলেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

সূত্রের খবর, রেভান্নাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন তদন্তকারীরা। সেখানে নিয়ে গিয়ে তদন্ত করা হবে। এই ধরনের তদন্তের নাম ‘স্পট ইনভেস্টিগেশন’। রেভান্নাকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে তাঁর কেন্দ্র হাসনের হোলেনারসিপুরা এলাকায়। তদন্তকারীদের ধারণা, ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালালে এবং অভিযুক্তকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে নতুন তথ্য তাঁদের হাতে আসতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়া আপাতত সোমবারের মধ্যেই সম্পন্ন করে ফেলতে চাইছে সিট। মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে। ভোটগণনা শুরুর আগেই এই পর্যায়ের তদন্ত সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে সিটের।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রেভান্নাকে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষা করানোর পর শুক্রবার শুরু হয়েছে জেরা। সূত্রের দাবি, সিটের প্রশ্নের মুখে রেভান্না প্রথম থেকেই দাবি করছেন, তিনি নির্দোষ। তিনি কোনও অপরাধ করেননি। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি করছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার পৌত্র।

Advertisement

রেভান্নার বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, হেনস্থার ভিডিয়ো নিজের মোবাইলে তুলে রাখতেন সাংসদ। একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়েও পড়ে হাসন কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায়। এর পরেই রেভান্না দেশ ছাড়েন। তিনি জার্মানির মিউনিখে চলে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দেশে ফেরেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য কর্নাটক সরকার সিট গঠন করে। জেডিএসও সাসপেন্ড করে সাংসদকে। আপাতত সিটের হেফাজতে তিনি রয়েছেন। তাঁর কেন্দ্রে ভোট হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় দফায়, ২৬ এপ্রিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement