কর্নাটকের সাংসদ প্রজ্বল রেভান্না। —ফাইল চিত্র।
বছরখানেক আগে তাঁর মোবাইল ফোন হারিয়ে গিয়েছে, পুলিশকে তেমনটাই জানিয়েছেন কর্নাটকের জেডিএস সাংসদ প্রজ্বল রেভান্না। সেই মোবাইলই এখন তন্ন তন্ন করে খুঁজছেন তদন্তকারীরা। কারণ, রেভান্নার বিরুদ্ধে তদন্তে ‘তুরুপের তাস’ হয়ে উঠতে পারে ওই মোবাইল। সেখানেই নাকি তিনি যৌন হেনস্থার ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখতেন। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) রেভান্নার মোবাইলের সন্ধান চালাচ্ছে।
রেভান্নার কাছে তাঁর মোবাইলটি চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, মোবাইলটি হারিয়ে গিয়েছে। প্রায় বছরখানেক আগে ওই মোবাইল তিনি হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানান রেভান্না। মোবাইল হারানোর পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার পৌত্র রেভান্না থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। গত বছর মার্চ মাসে সেই অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছিল পুলিশের খাতায়। কিন্তু যে ফোনে তিনি ভিডিয়ো রেকর্ড করতেন বলে তদন্তকারীদের আশঙ্কা, সেটি আদৌ হারিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিট জানতে পেরেছে, সাংসদের মোবাইল হারানোর অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট থানার তরফে যথাসাধ্য তল্লাশি চালানো হয়েছিল। কিন্তু সে সময়ে মোবাইলটি কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীদের অনুমান, মোবাইলটি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে রেভান্নার বিরুদ্ধে মামলায় প্রমাণ নষ্ট করার ধারা যুক্ত হতে পারে।
উল্লেখ্য, কর্নাটকের হাসন কেন্দ্রের সাংসদ রেভান্নার বিরুদ্ধে গত কয়েক দিনে একাধিক মহিলা ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, হেনস্থার ভিডিয়ো নিজের মোবাইলে তুলে রাখতেন সাংসদ। একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়েও পড়ে হাসন কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায়। এর পরেই রেভান্না দেশ ছাড়েন। তিনি জার্মানির মিউনিখে চলে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দেশে ফেরেন। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। রেভান্না অবশ্য নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, সত্য প্রকাশ্যে আসবেই। তিনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলেও দাবি করেছেন। হাসনে ভোট হয়ে গিয়েছে গত ২৬ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফায়। রেভান্না নিজের কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছেন। আপাতত ৬ জুন পর্যন্ত সিটের হেফাজতে থাকতে হবে তাঁকে।