প্রজ্বল রেভান্না। — ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে দায়ের হল চতুর্থ মামলা। গত ৩১ মে বেঙ্গালুরুতে ফেরার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
কর্নাটকের সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রজ্বলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, অনুসরণ করে উত্ত্যক্ত করা, ভয় দেখানোর অভিযোগে নতুন মামলা দায়ের হয়েছে। আরও অভিযোগ, ভিডিয়ো কল রেকর্ড করে তা অন্যদের সঙ্গে শেয়ারও করেছেন প্রাক্তন জেডিএস নেতা। প্রজ্বলের পাশাপাশি সেই ভিডিয়ো এবং ছবি প্রচারে অভিযুক্ত হয়েছেন হাসনের প্রাক্তন বিধায়ক প্রীতম গৌড়া-সহ দু’জন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবিডি ধারা এবং ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ই ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
২৪ জুন পর্যন্ত প্রজ্বলকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সোমবার তাঁকে বেঙ্গালুরু আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করানো হয়েছিল। আদালত তাঁকে আবার ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়। ৮ জুলাই পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকবেন তিনি। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন প্রজ্বল। ২৬ জুন শুনানি।
এর আগে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে তিনটি যৌন হেনস্থার মামলা রয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগও আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। হাসনে জেডিএসের টিকিটে চলতি লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রজ্বল। সেখানে ভোটের আগে একটি পেনড্রাইভ প্রকাশ্যে আসে। ওই পেনড্রাইভে প্রজ্বলের যৌন হেনস্থার একাধিক ভিডিয়ো রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। এর পর প্রজ্বলকে দল থেকে সাসপেন্ড করে জেডিএস। তিনি দেশে ছেড়ে চলে যান। পরে দেশে ফিরলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।