রাজ্যে কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়া ইস্তক একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং মন্তব্য করে শুধু যে দলকে বিব্রত করেছেন তাই নয়, তাঁর নেতৃত্বেই পঞ্জাবে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস কার্যত উড়ে গেছে আম আদমি পার্টির কাছে। আর তার পর থেকেই লাগাতার নতুন শাসক দল আম আদমি পার্টির প্রশংসা করে কংগ্রেসের বিড়ম্বনা আরও বাড়াচ্ছেন সিধু।
ফাইল চিত্র।
ফের কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়ালেন সদ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অপসারিত নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। এ বারে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের প্রশংসা করে বললেন, ‘পঞ্জাবে নতুন মাফিয়া-বিরোধী যুগের সূচনা করলেন ভগবন্ত মান।’’
রাজ্যে কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়া ইস্তক একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং মন্তব্য করে শুধু যে দলকে বিব্রত করেছেন তাই নয়, তাঁর নেতৃত্বেই পঞ্জাবে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস কার্যত উড়ে গেছে আম আদমি পার্টির কাছে। আর তার পর থেকেই লাগাতার নতুন শাসক দল আম আদমি পার্টির প্রশংসা করে কংগ্রেসের বিড়ম্বনা আরও বাড়াচ্ছেন সিধু। কিছু দিন আগে আপ-কে বেছে নেওয়ার জন্য পঞ্জাবের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন সিধু। এ বারে টুইটার বার্তায় তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান পঞ্জাবে নতুন মাফিয়া-বিরোধী যুগের সূচনা করেছেন।
সিধুকে নিয়ে গোড়া থেকে অশান্তিতে পঞ্জাব কংগ্রেস। তাঁকে কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ। কিন্তু সেই বিরোধিতাকে গুরুত্ব না দিয়ে রাহুল গান্ধী সিধুকে পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি করে দেন। তার পরেই সিধুর সঙ্গে অমরিন্দরের বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। অমরিন্দরকে সরানোর জন্য প্রবল ভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠেন সিধু। তাঁর দাবি মেনে রাহুল-প্রিয়ঙ্কা গান্ধীরা অমিরন্দরকে সরিয়ে দেন। সিধু তখন মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাওয়ার জন্য সক্রিয় হলেও রাহুল বেছে নেন দলিত নেতা চরণজিৎ সিংহ চন্নীকে। এবং সিধু গোড়া থেকেই নানা ভাবে চন্নীর বিরোধিতা করতে শুরু করেন। পঞ্জাবে কংগ্রেসের শোচনীয় হারের পরে রাজনীতির অনেকেই মনে করেন, সিধুর জন্য পঞ্জাবে হারতে হয়েছে কংগ্রেসকে। এখন সিধুর লাগাতার আপ-প্রশংসার পরে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি এ বারে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের দিকে পা বাড়াচ্ছেন সিধু?