হামলায় আহত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নিরাপত্তা আধিকারিকদের চিকিৎসা চলছে। ছবি: সংগৃহীত।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দফতরে হামলা চালানোর ঘটনায় এক তৃণমূল নেতা-সহ মোট ২২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মেঘালয় পুলিশের তরফে এই হামলা প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, আগে থেকে পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। চক্রান্তকারীদের যে রেয়াত করা হবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় আগেই ২১ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তৃণমূল নেতা রিচার্ড মারাকের পর ধৃতের সংখ্যা ২২ হল।
এই প্রসঙ্গে মেঘালয় পুলিশের ডিজি এলআর বিষ্ণোই বলেন, “২৪ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলায় যাঁরা চক্রান্ত করেছেন, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে না।” এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে মোট ২৬ জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। হামলায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্যই তৃণমূল নেতা মারাককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত সোমবার মেঘালয়ের তুরায় মুখ্যমন্ত্রী সাংমার দফতরে হামলা চালায় কিছু মানুষ। পাথর ছুড়তেও দেখা যায় তাদের। তবে সংমার কোনও আঘাত লাগেনি। উল্লেখ্য, গারো পাহাড়ের নাগরিক সমাজের একটি সংগঠন বেশ কিছু দিন ধরেই অনশন করে চলেছে। তাদের দাবি, তুরাকে রাজ্যের শীতকালীন রাজধানী করতে হবে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর লক্ষ্য করে এক দল বিক্ষোভকারী পাথর ছুড়তে থাকেন। তাতেই আহত হন মুখ্যমন্ত্রীর পাঁচ জন নিরাপত্তারক্ষী। আহতদের দফতরের ভিতরে নিয়ে আসা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটাতে হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও তা উদ্বেগজনক। দফতর সূত্রে জানা যায়, প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই তাঁর দফতর লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন কয়েক জন। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদীদের জানান, অনশন বন্ধ করলে পরের মাসে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে রাজধানী শিলঙে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিসভার সদস্যেরা। শীতকালীন রাজধানী এবং চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা হবে।
একটি সূত্র বলছে, সোমবার প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে প্রতিবাদীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন সাংমা। তখন বাইরে থেকে কয়েক জন পাথর ছোড়েন বলে অভিযোগ। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।