— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ফের বহু আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হল মণিপুরে। দক্ষিণ মণিপুরের পার্বত্য জেলা চুড়াচাঁদপুর, থৌবাল এবং ইম্ফল জেলার পূর্ব সীমানায় তল্লাশি অভিযানের পর ওই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দু’টি পৃথক অভিযান চালিয়েছিল সেনা ও পুলিশের যৌথ দল। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, প্রথম অভিযানে চুড়াচাঁদপুরের থাংজিং ব্রিজের উপরের ঘন জঙ্গল থেকে তারা দু’টি ম্যাগাজ়িন, একটি সিঙ্গল ব্যারেল রাইফেল, দু’টি ৯ এমএম পিস্তল, দু’টি দেশি রকেট, একটি দূরপাল্লার মর্টার, দু’টি মাঝারি পাল্লার মর্টার এবং চারটি বোমা উদ্ধার করেছে। আর এক দফা অভিযানে থৌবাল এবং ইম্ফলের পূর্ব সীমানার চাংবি গ্রাম থেকে দু’টি কার্বাইন মেশিনগান, দু’টি পিস্তল, একটি সিঙ্গেল ব্যারেল বন্দুক এবং ন’টি হ্যান্ড গ্রেনেড-সহ আরও নানা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সমস্ত অস্ত্র হস্তান্তর করা হয়েছে মণিপুর পুলিশের কাছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গায় ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে মণিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নতুন করে তপ্ত হয়ে ওঠে। এর মাঝে শুক্রবারই পূর্ব ইম্ফলে বড় নাশকতার ছক বানচাল করেছে সেনা। বংজাং ও ইথাম গ্রামের পাহাড়ি রাস্তায় পুঁতে রাখা সাতটি আইইডির সন্ধান পেয়ে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। বিস্ফোরকগুলির মোট ওজন প্রায় সাড়ে ২৮ কেজি! তবে এর মধ্যেই মণিপুরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। মোদী সরকারের তৃতীয় শাসনকালের ১০০ দিন উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, মণিপুরের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে এবং মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ পদত্যাগ করছেন না। বরং আলোচনা চলছে কুকি ও মেইতেই দুই পক্ষের সঙ্গেই। উল্টোদিকে মণিপুর কংগ্রেসের দাবি, রাজ্যে হিংসা, অশান্তি চলছেই। কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে আলোচনা চলার কোনও প্রমাণই নেই। কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি কে দেবব্রত সিংহ বলেছেন, “অমিত শাহের কথায় কোনও সত্যতা নেই। কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে শান্তি ফেরাতে বাস্তবে আলোচনা হওয়ারও কোনও প্রমাণ নেই।’’