Crime

ফ্রিজে রাখা শিশুর দেহ, রান্নাঘরে নিথর হয়ে পড়ে রেলকর্মী, বাবা-ছেলের মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য

জবলপুরের রেলওয়ে কলোনির কোয়ার্টার নম্বর ৩৬৪/৩-কে ঘিরে ওই এলাকায় আতঙ্ক যেন কাটতেই চাইছে না। এই কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয় রেলকর্মী রাজকুমার বিশ্বকর্মা এবং তাঁর আট বছরের পুত্রের দেহ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৭:২৪
Share:

ফ্রিজের ভিতরে উদ্ধার তনিষ্কের দেহ (বাঁ দিকে)। বাবার সঙ্গে তনিষ্ক। ছবি: সংগৃহীত।

ফ্রিজের ভিতরে কাপড়ে মুড়িয়ে রাখা আট বছরের এক শিশুর দেহ। তার পাশেই রান্নাঘরে নিথর হয়ে পড়ে ছিলেন রেলকর্মী। মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের এই খুনের ঘটনায় রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। আততায়ী কে বা কারা? কেনই বা রেলকর্মী এবং তাঁর পুত্রকে খুন করা হল, এখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

Advertisement

জবলপুরের রেলওয়ে কলোনির কোয়ার্টার নম্বর ৩৬৪/৩-কে ঘিরে ওই এলাকায় আতঙ্ক যেন কাটতেই চাইছে না। দিন কয়েক আগেই এই কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয় রেলকর্মী রাজকুমার বিশ্বকর্মা এবং তাঁর আট বছরের পুত্রের দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৫ মার্চ জবলপুর থেকে ২০০ কিমি দূর পিপরিয়াতে আরতি নামে এক কিশোরীর হোয়াট্‌সঅ্যাপে একটি অডিয়ো বার্তা আসে। সেটি পাঠিয়েছিল তাঁরই তুতো বোন কাব্য। সেই অডিয়ো বার্তাটি শুনেই আঁতকে উঠেছিল আরতি। সেই অডিয়ো বার্তায় আরতি উদ্দেশ করে কাব্য বলছে, তার বাবা এবং ভাইকে কেউ খুন করে ঘরের মধ্যে ফেলে রেখেছে।

এই বার্তা পেয়েই আরতি তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানানয়। সেই বার্তা শুনেই আরতির বাবা জবলপুরে এক পরিচিতকে বিষয়টি দেখতে বলেন। তিনি পুলিশে খবর দেন। তার পর রাজকুমারের বাড়িতে পৌঁছন। ঘরে ঢুকতেই দেখা যায় জিনিসপত্র সব ওলটপালট অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফ্রিজ খুলতেই চোখে পড়ে কাব্যের ভাইয়ের দেহ। কাপড় দিয়ে মোড়ানো ছিল। রান্নাঘরে পড়ে ছিল রেলকর্মী রাজকুমারের দেহ। চার দিকে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। বাড়িতে পুত্র তনিষ্ক এবং কন্যা কাব্যকে নিয়ে থাকতেন রাজকুমার। ২০২৩ সালে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছিল।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ঘরে ঢুকে রাজকুমারের দুই সন্তানকে খোঁজা হয়। কিন্তু তাদের কোনও হদিস মেলেনি। সেই সময় এক পুলিশ আধিকারিকের নজর যায় ফ্রিজের দিকে। ফ্রিজের হাতলে রক্তের দাগ লেগে ছিল। ফ্রিজ খুলতেই ভিতরে এক শিশুরে দেহ দেখতে পায় পুলিশ। কিন্তু কাব্যের কেনও হদিস মেলেনি। তা হলে কাব্য গেল কোথায়? তাকেও কি খুন করা হয়েছে? যদি খুন করা হয়, তা হলে দেহ কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement