— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
শ্রীনগরে এক পুলিশ আধিকারিককে লক্ষ্য করে গুলি চালাল জঙ্গিরা। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই পুলিশ আধিকারিকের অবস্থা সঙ্কটজনক। অভিযুক্তদের ধরার জন্য গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে বাহিনী।
পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার শ্রীনগরের ইদগাহ মাঠে জঙ্গিদের গুলিতে আহত হন আধিকারিক মসরুর আহমেদ। পিস্তল থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে। পিটিআই জানিয়েছে, সে সময় তিনি মাঠে বাচ্চাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিলেন। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘শ্রীনগরের ইদগাহের কাছে ইনস্পেক্টর মসরুর আহমেদকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছেন জঙ্গিরা। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পিস্তল থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’
চলতি সপ্তাহেই জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে বোঝাপড়া হয়েছিল, তা ভেঙেছে। বৃহস্পতিবার প্ররোচনা ছাড়াই আর্নিয়া সেক্টরে গুলি চালায় পাক সেনা। তাতে আহত হন এক বিএসএফ জওয়ান। গোলাগুলির কারণে প্রাণভয়ে আশপাশের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে যান বাসিন্দারা।
কাশ্মীরে এখন স্থানীয়দের জঙ্গিদলে নাম লেখানোর প্রবণতা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে দাবি। সেনা এবং পুলিশের উদ্বেগের কারণ এখন বিদেশি জঙ্গিরা। সেই নিয়ে গত বুধবার বৈঠকও করেছেন সেনা, পুলিশের শীর্ষকর্তারা। চলতি বছর জম্মু ও কাশ্মীরে নিহত হয়েছে ৪৬ জন জঙ্গি। তাদের মধ্যে ৩৭ জন পাকিস্তানি। বাকি ন’জন স্থানীয়। ৩৩ বছর পর দেখা গেল, স্থানীয়দের তুলনায় চার গুণ বেশি নিহত হয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গি।